চট্টগ্রামে শাখাওয়াত হোসেন ফাহিমকে উপর্যুপরি ছুরিঘাঘাত করে খুন করেন আরেক বন্ধু আরিফ। এই ঘটনার পর আরিফ ভোলার রতনপুর এলাকায় খালার বাড়িতে আত্মগোপন করেন। আজ বুধবার শহরের মোমিন রোডের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান। ওই সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ, চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ রাইস্লু ইসলাম, চকবাজার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট সকালে ডিসি রোডের আবু কলোনীর পাশে আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে শাখাওয়াত হোসেন ফাহিমের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এতে পুলিশের দাবি, স্ত্রীকে নিয়ে বাজে কথা বলায় ক্ষোভ থেকে মূলত: হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে আরিফ। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দুই বন্ধু শাখাওয়াত হোসেন ফাহিম ও আরিফ তারা দু’জন প্রায় সময় ইয়াবা সেবন করতো। একই সঙ্গে তারা চাঁদাবাজি এবং অন্য নারীদের যৌন হয়রানি করতো। একপর্যায়ে আরিফের স্ত্রীকে নিয়ে বাজে কথা বলতো ফাহিম। এই নিয়ে আরিফ এবং ফাহিমের মধ্যে বাগবিতন্ডাও হয়।
পরে আরিফের কাছে ফাহিম কুপ্রস্তাব দিয়ে বলেন- তার স্ত্রীর সঙ্গ পেতে চান। ওইদিনের পর থেকেই আরিফ ফাহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরপর ২০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টায় আবু কলোনীর পাশে আবুল কাশেমের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় শাখাওয়াত হোসেন ফাহিমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন আরিফ। ২৩ আগস্ট ফাহিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর আরিফ ভোলার রতনপুর এলাকায় তার খালার বাড়িতে আত্মগোপন করেন। সেখানে ২৭ আগস্ট পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরিফকে গ্রেফতার করেন। এ সময় এই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আরিফ চকবাজার ডিসি রোডের খোকন প্রকাশ আবদুর রহমানের ছেলে। আর হত্যার শিকার শাখাওয়াত হোসেন ফাহিম পটিয়ার আজিমপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।