বগুড়া শাজাহানপুরে বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামে রফিকুল নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় নির্যাতন চালানোর খবর পাওয়া গেছে। অনৈতিক কাজের কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে এলাকার বখাটে ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান আবু ও তার দুই সহযোগী এই নির্যাতন চালায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেছে নির্যাতিতার ছেলে বিপ্লব হোসেন।
প্রধান অভিযুক্ত মিজানুর রহমান আবু শাহজাহানপুর উপজেলার বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত আবু জাফরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, প্রবাসী রফিকুলের স্ত্রী বেবি বেগম প্রধান অভিযুক্ত মিজানের সম্পর্কে আত্বিয়া হন। স্বামী রফিকুল ইসলাম দেশের বাইরে থাকার সুযোগে মিজান পাড়া পরর্শী চাচীকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক কাজের কুপ্রস্তাব দিত। এতে রাজী না হওয়ায় কয়েক্ মাস পূর্বে অসৎ উদ্দেশ্য বেবী বেগমের ঘরে প্রবেশ করে সে। এতে বেবী চিৎকার করলে আবু পালিয়ে যায়।
পরের দিন এ ঘটনার কারন জানতে চাইলে বেবি বেগম ও তার ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিট করে অভিযুক্ত লম্পট মিজান গংরা। এ ঘটনায় সে সময় থানায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী গৃহবধু প্রবাসীর স্ত্রী বেবি বেগম। পরে সে মামলায় জামিনে এসে আবারো হুমকি ধামকি শুরু করে তারা।
এর মাঝে বেবি বেগম নিজস্ব জমিতে টিনশেট বাড়ি ভেঙ্গে ইটপাকা বাড়ি করতে গেলে প্রবাসী রফিকুলের জমিতে নিজের জমি আছে দাবী করে অভিযুক্ত আবু এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দিয়ে বাড়ি করতে দেয়নি। প্রবাসীর স্ত্রী, সন্তান একটি টিনের ছাপড়া করে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে ২৭ আগষ্ট গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবারো বেবী বেগমের বাড়ীতে চড়াও হয় সন্ত্রাসী মিজান গং। এসময় তারা পূর্বে মামলা তুলে নেবার হুমকি ধামকি দিয়ে গৃহবধু বেবীর উপর হামলা চালিয়ে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে মারপিট করে। দফায় দফায় তাকে মারপিট করার এক পর্যায়ে তাকে বাড়ির বাইরে ফেলে দেয়। সেখানেও ইটের টুকরো ও ডাল দিয়ে তাকে পেটানো হয়।
স্থানীয়রা বিষয়টি প্রত্যক্ষ করলেও প্রান বয়ে তারা ওই গৃহবধুকে এগিয়ে আসতে পারেনি। একপর্যায়ে নির্যাতনের ধকল সহ্য করতে না পেরে বেবি বেগম অজ্ঞান হয়ে গেলে অভিযুক্তরা সটকে পড়ে।
এ ঘটনা থানা পুলিশকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বেবি বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে নির্যাতিত বেবি বেগম বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, মিজানুর রহমান আবু বখাটে সন্ত্রাসী। আমরা স্থানীয়ভাবে ওকে বেশ কয়েকবার ভালো হতে বলেছি। ওর খারাপের মাত্রা বেড়েই গেছে। প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।