বগুড়ার শিবগঞ্জে নিজ বাড়িতে রওশন আরা (৪৭) নামে এক নারীকে গলাকেটে হত্যা ঘটনার মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্য হত্যারহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে।তুচ্ছ ঘটনায় নিজ স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হথ্যার দায় স্বিকার করেছেন নিহতের স্বামী।
নিহত রওশনরা উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী। তিনি পেশায় কৃষক।তাদের এক ছেলে প্রবাসী। এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।
গত ২৫ আগস্ট (রোববার) দিনগত সন্ধ্যা রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার অনন্তবালা হাতিবান্ধা গ্রামে সংঘটিত এই হত্যাকন্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
খবরে প্রকাশ হয়, রওশন আরার স্বামী শাহ আলম বিকেলে মাছ ধরতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রওশন আরা একাই বাড়িতে ছিলেন। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা তাকে গলাকেটে হত্যা করে চলে যায়। পরে, স্ত্রী হত্যার খবর শুনে শাহ আলম বাড়িতে ছুটে আসেন।এসময় তিনি বলেন ,তার স্ত্রীকে তিনি মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি আরো দাবী করেন, বাড়ী থেকে নগদ টাকা স্বর্নালংকার খোয়া গেছে।
শিবগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) মিজানুর রহমান খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান।
এদিকে এ ঘটনায়, পুলিশের সন্দেহ হলে তারা এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সচেষ্ট হন। শিবগঞ্জ থানার চৌকস কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক)মিজানুর রহমান নিজে এই ঘটনার তদন্ত ভার গ্রহন করেন। তিনি হত্যা ঘটনায় আলামত ও প্রতিটি তথ্য গুরুত্বর সাথে ক্ষতি দেখার পর নিশ্চিত হন এই হত্যাকান্ডের সাথে বাহিরের কারো সংশ্লিষ্টতা নেই।
পরে তিনি নিহতের স্বামী শাহ আলমকে নিবির জিজ্ঞাসাবাদের জানতে পারেন স্ত্রী হত্যাকান্ডে স্বামী শাহ আলম জরিত। অব্যাহত জিজ্ঞাসাবাদে অবশেষে স্বামী শাহ আলম পুলিশের কাছে স্বিকারোক্তি মূলক তথ্য প্রদান করে। এবং জানায়, স্ত্রী রওশনারাকে সে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি অনুসোচনা প্রকাশ করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় রাগের বস্ববর্তি হয়ে সে তার স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। শুধু মাত্র ভাত রাধতে দেরী হওয়াকে কেন্দ্র করে দু’জনার মধ্য ঝগড়া বেধে যাবার একপর্যায়ে সে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রনে রাখতে না পেয়ে সে বটি দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে ঘটনাকে অন্যখ্যাতে প্রবাহিত করতে মিথ্যা ঘটনা প্রকাশ করেন। স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের পর সে আদালতে ১৬৪ধারায় জবান বন্দি দিয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।