উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি কোন ধরণের টাকা পয়সা ব্যতিরেকেই সরকারী খাস জমির আওতায় এনে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন সেখানে জেল খানা নির্মান করার কথা বললেও সেই জমিতে আদৌ জেল খানা নির্মান হয়নি বরং নেত্রকোণা জেলার মো: মাসুদগংরা বিপাকে পড়েছেন। কারণ ২.০৬ জমির মধ্যে ১.৪২ একর জমির ক্ষতিপূরণ পাবার পরপরই টাকা প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ভূমি অধিগ্রহণ মামলা হয়। মামলা নং- ৩৩ (এন) ১৯৮৩-৮৪।
জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর ২০০৮ ইং সনে স্মারক নং জেএল/নেত্র/এনএ (২০৬) (৩) অধিগ্রহন ভূমি ১.৪২ একরের মধ্যে ২.০৬ একরের ভূমির গেজেট প্রকাশিত যেখানে মো: মাসুদ মোটেই অবগত ছিলেন না বা তাকে অবগত করানো হয় নাই। পরবর্তীতে ২০১০ ইং সনে জমি বিক্রি করার জন্য মাসুদগং খাজনা দিতে গেলে নেত্রকোণা ভূমি অফিস থেকে জানানো হয় উল্লিখিত জমি সরকারের কিন্তু অবাক হওয়ার বিষয় তখনও জমিটি মাসুদগংদের দখলেই ছিল। পরবর্তীতে মাসুদ গংদের জানানো হয় ঐ জমি গেজেট হয়ে গেছে এবং সরকারের দখলে চলে গেছে। এতে মাসুদগং বিস্মিত হয়ে যান এবং নেত্রকোণা ডিসি বরাবর আবেদন করেন মাসুদ গং এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের যোগাযোগ করেন। সে সময় ১৮ মে ২০১৪ নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন এবং ১৩ আগস্ট ২০১৪ মন্ত্রনালয় থেকে জানানো হয় মাসুদগংদের জমি এখন জেলা প্রশাসন এর মালিক। এরপরও মাসুদ গং গেজেট বিভ্রান্তি রয়েছে বলে চ্যালেঞ্জ করলে ঐ চ্যালেঞ্জ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে টিকতে পারেনি। এদিকে মাসুদগং তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্তি জমিতে কাজ করতে আসলে বারবারই প্রশাসনের তোপের মুখে পড়েন। গত ২৫ আগষ্ট্ ২০১৮ এ রকম বাধার সম্মুখীন হলে নেত্রকোণা ভূমি অফিস কাগজপত্র দেখে মাসুদগংদের জানিয়ে দেন এই জমি সরকারের। সর্বশেষ জানাগেছে এ-সংক্রান্ত মামলাটি নেত্রকোণা জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।