প্রায় বছর খানেক আগে ভালবেসে ঘর বেঁধেছিলেন মনিরা বেগম। বিয়ের সময় স্বামীর জন্মনিবন্ধন ছিলনা। যে কারণে কাজী অফিসে বিবাহের কাবিননামা রেজিষ্ট্রি করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়ভাবে ইসলামি শরীয়ত মতে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামের আলীনুরের সঙ্গে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। মনিরার বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঘাগটিয়া গ্রামে।
বিয়ের পর বছর যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য স্বামীর অত্যাচার শুরু হয় মনিরা বেগমের ওপর। যৌতুকের জন্য শাশুরি-দেবরের কটু কথা, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের মধ্যে যেতে হয় মনিরার। তবুও ভালবাসার মানুষটির কাছেই থাকতে চেয়েছিলেন মনিরা। যৌতুকে জন্য তাও হয়নি। তাকে ফিরতে হয়েছিল বাবার বাড়ি। পরে অনেকটা বাধ্য হয়েইে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুনামগঞ্জে অভিযোগ দায়ের করেন মনিরা বেগম। মামলার বিবরণীতে এমনটাই জানা যায়।
ট্র্যাইবুনাল এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার- ভূমির (এসি ল্যান্ড) নিকট পাঠান। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন এসিল্যান্ড মো.মুনতাসির হাসান পলাশ।
আজ সোমবার দুপুর ২টায় কমিশনারের কার্যালয়ে অভিযোগকারি মনিরা বেগম ও স্বামী আলীনুরের উপস্থিতিতে বিষয়টির নিষ্পত্তি করে দেন তিনি। এসিল্যান্ড মো.মুনতাসির হাসান পলাশ স্থানীয় কাজির মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবেই ৮০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে মনিরা বেগম ও আলীনুরের কাবিননামা রেজিস্ট্রি করে দেন। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে মিষ্টি মুখ করিয়ে নতুন সংসার জীবনের শুভ কামনা করেন এসিল্যান্ড।
অভিযোগকারি মনিরা বেগম বলেন, স্যার-এর (এসিল্যান্ড) মাধ্যমে আমি আমার ভালবাসার মানুষটিকে আবার ফিরে পেলাম।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মুনতাসির হাসান পলাশ বলেন, সামাজিকভাবে বসে যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য আমি সবসময় কাজ করে যাব।