কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পৌরসভা সহ ১১টি ইউনিয়নের ১০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার বলিয়ার্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে প্রাথমিক সেকসনে প্রথম শ্রেণী হতে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত মডেল বিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করণ করা হয়। এই বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ৭৭৭ জন শিক্ষার্থী শ্রেণী কক্ষের অভাবে প্রতিটি শ্রেণীতে শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী বসে একজন শিক্ষক ক্লাস করার কোন বিধান না থাকা সত্ত্বেও প্রতি শ্রেণীতে ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকদের পাঠদান দিতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৬ জন, ৪র্থ শ্রেণী ৯৪ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণী ১৫০ জন ও ৮ম শ্রেণীতে ৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কোন রকম পাঠদান দিয়ে আসছেন শিক্ষকগন। এই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জনের মধ্যে ১১ জন শিক্ষক রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে এ বিদ্যালয়টি বর্ধিত করণ করার কথা থাকলেও এখন ও পর্যন্ত কোন কার্যক্রমের বালাই নেই বলে বিভিন্ন অবিভাক সংবাদ কর্মীদের জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি ক্লাসে বেঞ্চের অভাবে শিক্ষার্থীরা উল্টো দিকে বসে ক্লাস করতে দেখা গেছে এবং তাদের ক্লাস করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষকের ৪০ মিনিট ক্লাস করার কথা রয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের খাতা দেখতে ও পড়া নিতে গিয়ে মাত্র ১০-১৫ মিনিট সময় থাকে। বিদ্য্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা বেগম দু:খ প্রকাশ করে এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রতি বছর এ বিদ্যালয় থেকে পিএসসি ও জেএসসি পর্যায়ে ফলাফল ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, যদি বিদ্যালয় বর্ধিত করণ করা হতো তাহলে শতভাগ ফলাফল করা যেত বলে তিনি উল্লেখ করেন। অত্র বিদ্যালয়ের অভিবাক কমিটির সভাপতি মো: আবুল কাশেম উল্লেখ করেন, শিক্ষকরা শতভাগ চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের পাঠভাসের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। বাজিতপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আফজল হোসেন বলেন, অচিরেই এ বিদ্যালয়টি বর্ধিত করণের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।