নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের ছয়ানি বাজারে নিখোঁজের ৩ দিন পর ৭ বছরের শিশু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওয়াসিম আকরাম (২০) কে পুলিশ আটক করার পর, সে সংগঠিত হত্যাকান্ডের স্বাকারোক্তিমূলক জবানন্দি দেয়। আটককৃত ওয়াসিম আকরাম একই ইউনিয়নের লক্ষনপুর গ্রামের আবদুর রহমান ওরপে মহিনের ছেলে। এই ঘটনায় তার সাথে আরো ৩ জন ছিল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন তার সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে অপর ৩ অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার ওয়াসিম আকরামের বরাত দিয়ে বলেন, সে সহ ৪ জন মিলে ছয়ানি বাজার থেকে এমরানকে ধরে নিয়ে সহিদ এর পরিত্যক্ত একচালা টিনের ঘরে নিয়ে পালাক্রমে পাশবিক কায়দায় বলাৎকার করে। একপর্যায়ে শিশুটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকলে তারা শিশুটির গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মৃতদেহটি প্লাস্টিকের মাছের ঝুড়িতে ভরে ওই ঘরে লুকিয়ে রাখে।
এসময় বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) নূরে আলম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের ছয়ানি বাজারে নিখোঁজের ৩ দিন পর সন্ধ্যায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে মাছের বাক্স থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় শিশু এমরান হোসেন (৭) এর লাশ উদ্ধার করে। নিহত এমরান হোসেন একই এলাকার ছোট শরীফপুর গ্রামের গজারী বাড়ীর সামছুল হকের ছেলে এবং ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে এমরান বাড়ী থেকে বের হয়ে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পেয়ে, স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে প্রচার মাইক বের করেন। এ ঘটনায় এমরানের বাবা সামছুল হক বেগমগঞ্জ থানায় ২৩ আগস্ট সাধারণ ডায়েরি করেন এবং ২৬ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।