দুর্গাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক কাজের মেয়ে ৫ মাসের অন্তসত্বা হওয়ার নির্ভরযোগ্য খবর পাওয়াগেছে। উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মধুয়াকোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মৌলভী শিক্ষক এমদাদ বেলালী (৪০) নামে যুবকের বিরুদ্ধে এক গৃহকর্মী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের ঐ শিশু বর্তমানে ৫মাসের অন্তঃসত্বা বলে ডাক্তরী রিপোর্টে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মীর মাহবুব আলম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চন্ডিগর ইউনিয়নের মধুয়াকোনা গ্রামের মোঃ উসমান গণি’র পুত্র সাফিউল্লাহ বেলালী ওরফে এমদাদ কাজীর বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো বাদীর শিশু কন্যা। ধর্ষক সাফিউল্লাহ বেলালী মধুয়াকোনা এ.ইউ আলিম মাদ্রাসার এবতেদায়ী ক্বারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন বলে নিশ্চিত করেছন ঐ শিক্ষা প্রতিষ্টানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আজিজুল ইসলাম। অভিযুক্ত ব্যাক্তি ঐ ইউনিয়নের কাজী সফিউল্লাহ্ বেলালীর সহোদর ভাই। ঐ সুবাধে সমাজে এমদাদ কাজী হিসেবে পরিচিত রয়েছে সে। লম্পট মাদÍাসা শিক্ষক তার স্ত্রীর সাথে বনাবনি ছিল কম প্রায় সময় জগড়া ফেসাত করে স্ত্রী তার বাবার বাড়ীতেই বেশীরভাগ সময় থাকতো সেই সুযোগে ভিকটিমকে নানান অযুহাতে ফুসলিয়ে, বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত ১৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ধর্ষণ এবং অন্তস্বত্বা হওয়ারর বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় মাতাব্বররা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হন। এ বিষয়টির কোন উপায়ন্ত না.দেখে ২ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে ভিকটিমের মা মোছাঃ সুবজা খাতুন বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাত দুইটার দিকে নিরলস পরিশ্রমী এস.আই মোঃ সাইফুল আলম এর নের্তৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক সাফিউল্লাহ বেলালী ওরফে এমদাদকে তার নিজবাড়ী থেকে গ্রেফার করেন।
এ বিষয়ে ওসি মীর মাহবুব আলম জানান,বাদীর অভিযোগটি এফআইআর করে আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।