জামালপুরের বকশীগঞ্জে শেফালী মফিজ মহিলা আলিম মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র শিক্ষক রুকুনুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে,বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ শেফালী মফিজ মহিলা আলিম মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো একই মাদ্রাসার জুনিয়র শিক্ষক মো. রুকুনুজ্জামান। চলতি বছরের ১৫ জুলাই মাদ্রাসার পাশেই নিজ বাড়িতে পড়াশুনা করছিলো ওই শিক্ষার্থী। বাড়িতে কেউ না থাকার সূযোগে ওই লম্পট শিক্ষক রুকুনুজ্জামান ওই শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী করে।
এই ঘটনায় পরের দিন ১৬ জুলাই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক ঘা ডাকা দিয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেন।
৪ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। একই সময়ে রুকুনুজ্জমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ। এ ছাড়া বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ এ.কে এম মাহবুব আলম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতেই শিক্ষক রুকুনুজ্জামানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।