মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে এক ভূয়া মেজিস্ট্রেট, ৪ ভূয়া সাংবাদিক ও এক মাইক্রোবাস চালক এবং একজন ক্যামেরাম্যানসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার বিকালে তাদেরকে উপজেলার নাগেরহাট বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে করা হয়। সেই রাতেই যাচাই করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাদের ব্যবহৃত ঢাকা মেট্্ের-চ ১৫-১৬৯৮ নং মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। আদী গিরিধারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক বিরেন মল্লিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের মুন্সীগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃত ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট মো. লোকমান হোসেন (৫৮), গাড়ি চালক মো. কবীর হোসেন (২৮), ক্যামেরাম্যান কবির হোসেন (৪২), সাংবাদিক নাজমুল হক (৩৬), সুমন শেখ (২২), মো. রাজ্জাক (৪০) ও শহিদুল ইসলাম সোহেল (৩৫)। তারা প্রত্যেকে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জে ভাড়া থাকেন।
নাগেরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা ৭জন একটি মাইক্রোবাস নিয়ে বাজারের কয়েকটি মিষ্টর দোকানে ঢুকে মিষ্টি খায় এবং মিষ্টিতে ভেজাল আছে বলে। তাদের মধ্যে একজন বলে মেজিস্ট্রেট সারের সাথে কথা বলেন। তাকে কিছু টাকা দিয়ে মিট করেন। তাদের সন্দেহ হলে বাজারের লোকজন ভীর করে। এ সময় তারা যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে দোকানদাররা তাদের আটক করে থানায় খবর দেয়।
লৌহজং থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসাইন জানান, একজন ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও কয়েকজন ভূয়া সাংবাদিকসহ ৭ জন মিষ্টির দোকানে গিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে। তারা তাদের অপকর্মের কথা স্বীকার করলে রাতে মামলা হয়। মঙ্গলবার তাদেরকে মুন্সীগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক চৌকস পত্রিকার ওয়েবসাইট এডমিন আবুল কাসেম টেলিফোনে জানান, লোকমান হোসেন ও আবদুর রাজ্জাক আমাদের অফিসের লোক, লৌহজংয়ে এসাইনম্যান্ট ছিল। বাকিদের চিনি না। তারা যদি কোন অপকর্ম করে থাকে সেই দায়ভার তাদের।