লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে ডাকাতদের হামলায় আতিক উল্লাহ নামের অশীতিপর এক গৃহকর্তা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ১৫ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আতিক উল্লাহ পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত মুসলিম মিয়ার ছেলে। স্বজনদের দাবী মালামাল লুটের জন্য নয়,ওই বৃদ্ধকে হত্যা করতেই পরিকল্পিতভাবে এ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এলাকাবাসী এ হত্যাকান্ডের নিন্দা ও দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী জানিয়েছেন। আর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রিয়াজুল কবির বলেছেন, একদল লোক আকস্মিকভাবে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে মারধর করলে সে মারা যায়। নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযান পরিচালনা শুরু করছে। আমরা আশাবাদী দ্রুততম সময়ের মধ্যেই যারা এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে জানান তিনি।
ওই বাড়ীর গৃহপরিচারিকা মমতা জানান,মঙ্গলবার রাত আনুমানিক তিন টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ১৫ নং ওয়ার্ডে আতিকউল্ল্যাহর বাড়ীতে মুখোশ পরিহিত একদল ডাকাত দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে।এ সময় তারা ওই ঘরে থাকা ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। এর আগে তাকেসহ গৃহকর্তা আতিকউল্ল্যা মেয়ে আকলিমা আক্তার সুইটি হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে মুখোঁশ পরিহিতরা। এ সময় গৃহকর্তা আতিকউল্লাহ চিৎকার দিলে ডাকাতরা তার গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় তারা আলমিরা ও ঘরের বিভিন্ন স্থান থেকে এ সময় তারা হাত, পা বাঁধা অবস্থায় গৃহকর্তা আতিক উল্যাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের মেয়ে আকলিমা আক্তার সুইটি ও নিহতের বড় ছেলে মো. শাফায়েত উল্লাহ ্জানান, ডাকাতির জন্য তার বাবাকে হত্যা করা হয়নি। এ হত্যার অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। তার বৃদ্ধ বাবার গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তারা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ১০/১২ জন মুখোশ পরা ডাকাত ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ওই ঘরে থাকা আতিক উল্লাহ, তার মেয়ে ও গৃহপরিচারিকার হাঁত-পা-মুখ বেঁধে রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয় ডাকাতেরা। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এসে তাদের হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ সময় আতিক উল্লাহ কে মৃত দেখতে পান। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মো.রিয়াজুল কবির ও সদর থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ঘটনার তদন্ত ও মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যা কারীদের দ্রুত আইনের আওয়াতায় গ্রেফতার করা হবে। এজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চলছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।