ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশলি) রমিজ-দম্পতির বিরুদ্ধে কি হতে যাচ্ছে। অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েও কি দুদকের হাত থেকে পার পাবে, না কি দুর্নীতির মামলার গ্যাঁরাকলে পরবে। এমন দ্বিধাদন্ডে রমিজ দম্পতি। তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের করা অনুসন্ধান ও তথ্য-উপাত্ত চাওয়া শেষ কবে হবে। কমিশনের সূত্র বলছে দুদকের নোটিশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অপেক্ষায় আছে তদন্ত টিম। আরো কিছু নথিপত্র চেয়ে রমিজকে চিঠি দেয়ার কথা জানিয়েছেন অনুসন্ধান দল। তবে নোটিশের উত্তর পেলে ডিপিডিসির এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার উপকরণ পাওয়ার আশা করছেন কমিশন। তারা জানান, রমিজ-দম্পতির দুর্নীতির অভিযোগের খুব সিগগিরই অবশান ঘটবে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে রমিজ উদ্দিনের জামাতার ব্যাংক একাউন্টে তার শ্বশুরের টাকা গোচ্ছিত রয়েছে। রমিজের জামাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলে তদন্তে তথ্য পেয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, ডিপিডিসির দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে উত্তরা ৫ নং সেক্টরের ২ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর প্লটের ওপর ৭ তলা বাড়ি, মিরপুরের পূর্ব মনিপুরি পাড়ার ১৩০৭/ডি প্লটে ৬ তলা বাড়ি। মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে ৪ তলা বাড়ি ও ২০২ নম্বর বাগিতে ফাট, রামপুরার মহানগর হাউজিংর ডি নম্বর ব্লকের ৮ নম্বর রোডে সাড়ে চার কাঠা জমির ওপর ৫টি দোকানসহ টিনসেড বাড়ি, ১৭৭/৫/১ পূর্ব রামপুরায় ৯.৪৮ শতাংশ জমি ও বাড়ি, টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে, বেনামে ৩০ একর জমি, কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে কয়েক একর জমি, কুমিল্লার মুরাদ নগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে ৫০ বিঘা জমি ও শেয়ার মার্কেটে বিশাল অংকের বিনিয়োগ এবং বেনামে বিপুল সম্পদ।এছাড়া গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারেরও প্রমান পেয়েছে দুদক। উপ সহকারী পরিচালক শহীদুর রহমান অনুসন্ধানের মাধ্যমে এ সন্ধান পায় দুদক।
অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী সালমা পারভীনের নামেও কুমিল্লাতে জমিজমা ছাড়াও পুঁজিবাজারে বড় অঙ্কের অর্থের বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক।
এই বিপুল সম্পদের প্রাথমিক প্রমান পাওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক ঋত্ত্বিক সাহা সার করা নোটিশে রমিজ উদ্দীনকে সম্পদ বিবরনি দাখিল করতে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২০ জানুয়ারি থেকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাঁদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
দুদকের কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। আর এই অভিযোগের অনুসন্ধানী কর্মকর্তা হিসেবে আছেন সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমান এবং সহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। রোববার দুদকের তথ্য-উপাত্ত চাওয়ার বিষয়ে জানতে ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশলি) রমিজ উদ্দিনকে ফোনে জানান, এর যা তথ্য চেয়েছে তার সরবরাহ করা হয়েছে। দুদক ফের চিঠি দিলে তারও জবাব দেয়ার কথা জানান তিনি।