সিরাজদিখানে মামীর হাতে ভাগনী খুনের ঘটনা ঘটেছে। তুচ্ছ ঘটনায় মামী রহিমা আক্তারের (২৮) ক্যাচির আঘাতে ভাগনী কলেজছাত্রী তাসনিমা আক্তার নিপা (১৭) খুন হয়েছে। নিপা ইছাপুরা সরকারি কেবি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বাহেরকুচি গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে ৫ দিন চিকিৎসার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে নিপার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে নিপার বাবা মো. দ্বিন ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে লিখিত অভিযোগ করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক রহিমা বেগম ও তার স্বামী আবু তাহের পালাতক রয়েছে।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে নিপার মা রোমেলা বেগমকে মারধরধর করে রহিমা আক্তার ও আবু তাহেরসহ কয়েকজন। এ সময় নিপা তার মাকে মারধর থেকে রক্ষা করতে গেলে তার মামী রহিমা বেগম কাপড় কাটার ক্যাচি দিয়ে নিপার পেটে আঘাত করে। নিপাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ঢাকা রেফার করেন জরুরী বিভাগের চিকিৎসক। প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে ও বুধবার একটি প্রাইভেট কিডনি হাসপাতে চিকিৎসা দেওযা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়। কারণ হিসেবে জানা যায়, ক্যাচির আঘাতে পেটের নাড়ি ও ভুড়ি ফুটো হয়েছিল। আরো জানা যায়, নিপার নানা বাড়িতে মায়ের অংশে বাড়ি করে ২০ বছর যাবৎ তার বাবা ও মা বসবাস করে আসছিল। এখানে জমি সংক্রান্ত নিপার মামা ও মামির সাথে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এই ঘটনা ঘটে।
সিরাজদিখান থানার ওসি (অপারেশন) কাজী রমজানুল জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিপার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাল একটি মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে তৎপর আছে।