পাবনার চাটমোহরে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা বয়কটকারী ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর সমঝোতা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ হামিদ মাস্টােেরর অফিস কক্ষে এই সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে,এই সমঝোতা বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ হামিদ মাস্টার,ভাইস চেয়ারম্যান ইছাহক আলী মানিক,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা পারভীন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার ও ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ইউএনও ও ইউপি চেয়ারম্যানদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয় এবং উপজেলার উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ হামিদ মাস্টার এই সমঝোতা বৈঠকের উদ্যোগ নেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা বয়কট করেন চাটমোহরের সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ইউএনও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছেন এবং অবজ্ঞা ও অবহেলা করছেন ইউপি চেয়ারম্যানদের-এমন অভিযোগ এনে সভা থেকে একযোগে বের হয়ে যান সংক্ষুব্ধ চেয়ারম্যানবৃন্দ।
বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে শুরু হয় সভাটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ মাস্টার। সভার শুরুতেই বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয় তুলে ধরেন ছাইকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
সভা থেকে বের হয়ে সবক’টি ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতার চিত্র তুলে ধরে বলেন,সভার রেজুলেশন না করেই আমাদের কাছে থেকে সই নেয়া হয়। পরের সভায় দেখা যায়,আলোচনার বাইরের বিভিন্ন বিষয়ও রেজুলেশনে ঢুকানো হয়েছে।
চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আরো জানিয়েছিলেন,তিনি সব চেয়ারম্যানকেই অবহেলা করেন। নিজের খেয়ালখুশি মতো কাজ করছেন। আমাদেরকে তার দরকার নেই। আমরা এখন শুধু চারিত্রিক আর জন্ম সনদ সই করবো।
ইউএনও সরকার অসীম কুমার অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করে বলেছিলেন,স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ সঠিক নয়। তাদের এই কর্মকান্ডের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। তাদের সকল দাবি বা অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে আমি প্রস্তুত ছিলাম। আইনের মধ্য থেকে ম্যানুয়াল মোতাবেক উপজেলা পরিষদের কর্মকাণ্ড চলবে। ইউএনও সাংবাদিকদের বলেছিলেন,ইউনিয়ন পরিষদের ম্যানুয়েল অনুযায়ী সব কিছু হবে।