লালমনিরহাটে অভিযুক্তের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীর বাল্যবিয়ে দেয়ার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (নিকাহ নিবন্ধক) কাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউপির সাতপাটকী এলাকার বাসিন্দা এবং ওই ইউপির নিকাহ নিবন্ধক। শুক্রবার রাতে বুড়িরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মাইনুল ইসলামের পরামর্শে প্রাইভেট শিক্ষক শাহীন আলমের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার তাকে হাতীবান্ধা সার্কেল অফিসে বদলি করা হয়েছে।
কিশোরীর বাবার অভিযোগ অনুযায়ী, সদর উপজেলার শাহীন ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা চালান এবং পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ২৫ জুলাই লালমনিরহাট শহরের মেরী স্টোপ নামে একটি ক্লিনিকে তার গর্ভপাত করানো হয়।
কিশোরীর বাবা এ ঘটনায় ১১ আগস্ট সদর থানায় অভিযোগ করলে এসআই মাইনুল কিশোরীকে শাহীনের সঙ্গে বিয়ের পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী ২৩ আগস্ট মহেন্দ্রনগরের কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু মেয়ের বয়স কম হওয়ায় বিয়ের প্রমাণ হিসেবে কোনো কাবিননামা করা হয়নি।
কয়েক দিন পর শাহীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিয়েতে কোনো কাবিননামা সই হয়নি। তাই শাহীনের সঙ্গে ওই কিশোরীর তালাক হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে শাহীন ধর্ষণের অভিযোগও অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে সদর থানায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শাহীনসহ চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাহীনকে রাতেই গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে কাজী শহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এসআই মাইনুলের বিষয়ে সদর সার্কেলের এএসপি শফিকুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব নয়।
এদিকে, কাজী শহিদুল থানায় দাবি করে বলেন, আমি এ বিয়ে দেইনি। এমনকি তাদের আমি চিনিও না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।