যশোরের মনিরামপুরে শামসেরবাগ দাখিল মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক আবদুল অজিজের বিরুদ্ধে তিন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিন সদস্যের টিম গঠন করেছেন। টিমের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকারকে প্রধান করে গঠিত টিমের অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী সুলতানা এবং উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা মহসিন আলী। সোমবার এ টিম সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করবেন বলে জানা গেছে।
জানাযায়, উপজেলার শামসেরবাগ দাখিল মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী শিক্ষক আবদুল আজিজ শ্রেণীকক্ষে এবং শ্রেণীকক্ষের বাহিরে তিন ছাত্রীকে আদরের নামে যৌন হয়রানি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শনিবার সকালের দিকে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা লাটিসোটা নিয়ে মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে তালা মেরে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অন্যান্য শিক্ষক এবং এলাকাবাসী এসে তাদেরকে শান্ত করেন।
অপরদিকে শিক্ষক আবদুল অজিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যৌন হয়রানির শিকার তিন ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা শনিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শনিবারই মাদ্রাসা সুপার শওকত আলী সহকারি মৌলভী শিক্ষক আবদুল আজিজকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ দিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোববার বিকেলে তিন সদস্যের টিম গঠন করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকারকে প্রধান করে গঠিত টিমের অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী সুলতানা এবং উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা মহসিন আলী।
তদন্ত টিম গঠনের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, টিমের সদস্যরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।