সনাতন ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সারদীয় দূর্গা পূজা কড়া নারছে দুয়ারে। চার অক্টোবর ঢাকে কাঠি পরার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দূর্গা পুজার মূল আনষ্ঠানিকতা। তার আগে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে মন্ডপে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের তথ্যমতে, এ বছর রাজবাড়ীতে ৪২৬ টি মন্ডপে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মূল আকর্ষণ বহর পুরের ১৪ হাত লম্বা প্রতীমা। দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন কার্যালয়টি।
সরেজমিনে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর এলাকায় শ্রী শ্রী মহেশ্বরী অঙ্গনে গিয়ে দেখাযায়, এই মন্দিরে এ বছর প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে ১৪ লম্বা দুর্গা মায়ের প্রতীমা। পুজার ত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে রঙ্গিন এ আয়োজন করেছে পূজা উদযাপন কমিটি।
বহরপুর এলাকায় শ্রী শ্রী মহেশ্বরী অঙ্গনের সাধারন সম্পাদক জীবন গোস্মামী বলেন, মন্দিরটি তিত্র বছর যাবৎ দুর্গা পুজা করে আসছে। জেলার অন্যতম ও বড় এই পূজার আয়োজন দেখতে প্রতিদিনই দূর দুরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা।
প্রতীমা কারিগর দিলিপ কুমার জানান, মাটির কাজ শেষের দিকে, এরপর হবে রংয়ের কাজ। তারপরেই দেবীকে পড়ানো হবে কাপড় ও অলংকার।
এছাড়াও বালিয়াকান্দি উপজেলার নলিয়া গ্রামে মহা ভারতের কাহিনি নিয়ে সাড়ে চারশত দেব দেবির প্রতীমা তৈরি করেছে জামালপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটি। কমিটির প্রধান পৃষ্ঠ পোষক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছরের ন্যয় এ বছরও আমরা পূজায় কিছুটা ভিন্নতা এনেছি। এ বছর সাড়ে চারশত দেব দেবীর প্রতিমা তৈরি করা হবে। এছারাও থাকবে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি চারতলা বিশিষ্ট মঞ্চ। এ বছর লক্ষাধীক লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন তিনি।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, পূজাকে সার্বজনীন করতে নেওয়া হয়েছে সকল প্রকার প্রস্তুুতি। পূজার নিরাপত্তার কথা ভেবে নিয়োজিত থাকবে ৫ শতাধীক পুলিশ সদস্য, থাকবে সাদা পোশাকে পুলিশ ও দুই হাজার গ্রাম পুলিশ।