২০ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটানো নিজের স্ত্রীকে নিয়ে অন্য আরেকজন অবৈধভাবে সংসার করায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এনায়েত পাইক নামের এক স্বামী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের জবসেন গ্রামের।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা প্রশাসনে কাছে বিচারের দাবি জানিয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে ভুক্তভোগী এনায়েত পাইকের (৭০) এর দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তার প্রথম স্ত্রী মারা যাবার দুই বছর পর (বিশ বছর আগে) পাশ্ববর্তী কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি গ্রামের ছোমেদ শেখের কন্যা (স্বামী পরিত্যাক্তা) মেনোকা বেগমের সাথে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। মেয়ে বিয়ে দেয়ার পরে আট বছরের ছেলে নিয়ে তাকে কিছু না বলে গত তিন বছর আগে তার স্ত্রী মেনোকা একই উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের নগরবাড়ি গ্রামের মৃত তালেব খানের পুত্র বেকারী ব্যবসায়ি হাকিম খানের (৫৫) সাথে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে।
এনায়েত পাইক বলেন, তার স্ত্রী মেনোকা তাকে কোন রকম ডিভোর্স না দিয়ে অন্যজনের সাথে অবৈধভাবে বসবাস করে দেশের প্রচলিত আইন ও শরিয়া আইন বিরোধী কাজ করছে। হাকিম খানের সাথে বসবাস করলেও বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি চাল গ্রহনের সুবিধাভোগীর তালিকায় মেনোকার স্বামীর নাম এনায়েত পাইক লেখা রয়েছে। তাই তিনি তার স্ত্রীকে ফেরত পেতে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি, বাকাল ও গৈলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে হাকিম খান ও মেনোকা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় প্রদান করে বলেন, ২০১৬ সালের ২ জুন তারা বিয়ে করেছেন। এর আগে এনায়েত পাইককে মেনোকা তালাক দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাকিম পাইকের এটা চতুর্থ ও মেনোকার তৃতীয় বিয়ে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রইচ সেরনিয়াবাত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি প্রথমে সামাজিকভাবে দেখার দায়িত্ব দেয়া হবে। সমাধান হলে ভাল, না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, এরকম একটি অভিযোগ পেয়ে এসআই জামাল হোসেনকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।