বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের কুন্দুগ্রাম সদরের অতি সন্নিকটে চাঁপাপুর কুন্দগ্রাম রাস্তার কোল ঘেঁষে স্থাপন করা হয়েছে ব্যাটারী পোড়ানের কারখানা। বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজিবাইকের পরিত্যাক্ত ব্যাটারী ক্রয় করে এনে সেখানে গভীর রাতে পোড়ানো হচ্ছে ওই ব্যাটারী গুলো এবং সেখান থেকে বের করে নেয়া হচ্ছে মূল্যবান পদার্থ শিষা। পোড়া ব্যাটারীর এসিডের গন্ধে কারখানার চার পাশ ঘেঁষে উঠতি আমন ফসল, গাছপালা, জীববৈচিত্র সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়ায় জনৈক আলতাফ আলীর রাস্তার ধারে জায়গা ভাড়া নিয়ে দেদারছে এই ব্যাটারী পোড়ানোর কারখানা স্থাপন করে সেখানে ব্যাটারী পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগে জানা যায়, গত দু’ মাস পূর্বে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার কতিপয় ব্যবসায়ী কুন্দগ্রামে এসে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর সাথে এ ব্যবসা নিয়ে আলাপ চারিতার মধ্য দিয়ে তারা ওই প্রভাবশালীদের সহায়তায় উল্লিখিত স্থানে টিনের বেড়া ও ছাউনী দিয়ে কারখানা স্থাপন করে। এরপর থেকে ব্যাটারী পোড়ানোর কাজ ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কুন্দগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা কোরবান আলীর ছেলে জনি আলম, আহম্মদ আলীর ছেলে বাবু, ডাঃ আশুতোষ কুমার, অমূল্য কর্মকারের ছেলে দুলাল সোনার ও উজ্জ্বল হোসেন কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, এই কারখানাটি চালুর পর থেকে গভীর রাতে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয় ব্যাটারী। আর এই ব্যাটারীর এসিডের গন্ধে রাস্তার পাশের মূল্যমান গাছ গুলোর পাতা মরে গাছের মড়ক ধরেছে, উঠতি আমন ফসলের ধান গাছের উপরে এর প্রভাব পড়ছে জীব বৈচিত্রের চড়ম ক্ষতি হচ্ছে। এসিডের গন্ধে পথচারীরা রাস্তা দিয়ে পথ চলতে গায়ে চিটমিট করে জ¦ালা পোড়া করছে। স্থানীয় বসতিরা শিশু সন্তান নিয়ে পড়েছে হুমকির মুখে। তারা মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রভাবশালীরা তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। কারখানায় সম্পৃক্ত কুন্দগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা প্রভাবশালী নিকসনের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমরা বেকার মানুষ কিছু কর্ম করে খাচ্ছি। এ বিষয়ে লোকার প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি।
এ নিয়ে কুন্দগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম বেলাল হোসেনের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, এটি অবৈধ এবং বেআইনী ভাবে স্থাপন করা হয়েছে যা মানব দেহ এবং জীববৈচিত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদমদীঘি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ জালাল উদ্দিনের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, এ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম বেলাল হোসেন এর মাধ্যমে তিনি জেনেছেন। তিনি চেয়ারম্যান কে চৌকিদার দ্বারা ভেঙ্গে দেয়ার নির্দেশও প্রদান করেছেন। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের সাথে কথা বলতে তার অফিসে যাওয়া হলে এ সময় তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাকে অফিসে না পেয়ে মুটোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে সে ফোন রিসিভ করেননি।