নওগাঁর মান্দায় পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি একটি ব্রীজের বন্ধ মুখ খুলে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ব্রীজের মুখটি উন্মুক্ত করে দেয়ায় চরম দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিন গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার। উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের দাওয়াইল মৎস্যজীবীপাড়ার এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, পরানপুর ইউনিয়নের দাওয়াইল মৎস্যজীবীপাড়া, সরদারপাড়া ও সোনারপাড়া গ্রামে সহস্রাধিক পরিবার বসবাস করে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য মৎস্যজীবীপাড়ার মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। গ্রামের সাইদুর রহমানের সম্পত্তিতে প্রায় ২৫ বছর আগে ব্রীজটি নির্মাণ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, গত ৪ মাস আগে একই গ্রামের খোদাবক্স, ইউসুফ, আক্কাস ও হারুন মাটি দিয়ে ব্রীজের মুখটি বন্ধ করে দেন। ভরাটকৃত স্থানে ওইসব ব্যক্তিরা অস্থায়ী স্থাপনাও নির্মাণ করেন। এতে তিন গ্রামের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরও জানান, গত কয়েকদিনের একটানা বর্ষণে ওইসব গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অনেকের ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। গ্রামের একমাত্র পাকা রাস্তাটিরও বেশকিছু এলাকা ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন তারা।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার জসিম উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের সংবাদে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সমঝোতার ভিত্তিতে ব্রীজের মুখটি খুলে দেয়া হয়েছে।
ইউএনও আবদুল হালিম জানান, ‘পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ করে দেয়া সঠিক হয়নি। এতে বহু পরিবার চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। আগামিতে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া হবে’।
ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার জসিম উদ্দিন, ইউএনও আবদুল হালিমসহ মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান উজ্জল, ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন এলাচসহ স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।