সৈয়দপুরে রেলওয়ের পরিত্যক্ত জমিতে বসবাসরত পরিবারকগুলোকে উচ্ছেদ না করে স্থায়ী বন্দোবস্ত জমি বরাদ্দের বিষয় নিয়ে সৈয়দপুর বাস্তুহারা সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। গত ১ অক্টোবর রাতে সৈয়দপুর পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাস্তুহারা সমিতির উপদেষ্টা, সভাপতি, সম্পাদক, পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ সৈয়দপুরে কর্মরত ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সমিতির উপদেষ্টা ও পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, ২২ বছর থেকে রেলওয়ের জমিতে বসবাসকারীদের স্থায়ী সমাধানের লক্ষে চিঠি চালাচালি করে আসছি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। ১৯৮৯ সালে সৈয়দপুর বাস্তুহারা সমিতি নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেই থেকে আজ অবধি ভূমিহীন পরিবারগুলোর পক্ষে এ সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে নিঃস্বার্থভাবে। শুরু থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছেন সংগঠনের অন্যতম নেতা শেখ মোহন। বর্তমানে সমিতির সভাপতি কাউন্সিলর তারিক আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান জুয়েল বাস্তুহারাদের সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করছেন। রেলওয়ের পতিত জমিতে বসবাসরত বাস্তুহারাদের উচ্ছেদ না করে তাদের মাঝে স্বল্পমূল্যে অথবা দীর্ঘ মেয়াদী ইজারায় জমি প্রদানের সু-বন্দোবস্তকরণ বিষয় নিয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশির মাধ্যমে রেলমন্ত্রী বরাবর গত ২৯ সেপ্টেম্বর আবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ কমিটির সদস্যরা রেলমন্ত্রীর সাথে কথা বললে তিনি সু-পরামর্শ দিয়ে আশস্ত করেছেন। তবে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বসবাসকারীদের চলতে হবে। কোন আন্দোলন সংগ্রাম করে লাভ নেই। রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে এমন কথা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। পৌরসভার অধিন ২৫ দশমিক ৭৫ একর জমি নিয়ে রেলওয়ের সাথে পৌরসভার মামলা চলমান রয়েছে। বাস্তুহারাদের নাম করে আজ সিআইপি ও কোটিপতিরা নামে নেমেছে। প্রকৃত বাস্তুহারাদের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে ইজারা দেয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।