শেরেপুরের নকলায় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেে ইউএনও জাহিদুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল শেরপুর জেলার প্রথম উপজেলা হিসেবে নকলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নকলায় বাল্যবিয়ে হতে দেওয়া হবে না। আর যদি কেউ গোপনে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে সংশ্লিষ্টদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা, আইনের আওতায় এনে জেল-জরিমানা করা হবে।
জানা যায়, উপজেলার নকলা পৌরসভার চানপুর এলাকার হুরমুজ আলির মেয়ে বাড়ইকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ফুলেমানের (১৪) সঙ্গে একই এলাকার আশ্রাব আলীর ছেলে সামিদুলের বিয়ে ঠিক হয়। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে কনের বাবার বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। গোপনে সংবাদে ইউএনও তাৎক্ষণিক কনের বাড়িতে ছুটে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইউএনও জাহিদুর রহমান এলাকার গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে ওই বিয়ের সংশ্লিষ্ট অভিভাকদের বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝালে বর ও কনের অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা দেন। এ সময় উপযুক্ত বয়স হওয়ার আগে এলাকার অপ্রাপ্ত ছেলে বা মেয়েকে যেন কোন অভিভাবক বিয়ে দিতে না পারেন, সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন বলে উপস্থিত গন্যমান্যরা মৌখিক অঙ্গীকার করেন।