দেশের চতুর্থ বৃহত্তম “নীলফামারী বড় মাঠ” থেকে বাণিজ্য মেলা ও সার্কাস প্যান্ডেল সরিয়ে উন্মুক্ত করার দাবিতে গত মঙ্গলবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি নীলফামারী শহরের বড় বাজার ট্রাফিক মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে বক্তব্য বলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আলো’র প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, আলো'র সাধারন সম্পাদক মাহমুদ আল হাসান রাফিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক আহ্বায়ক আবদুল জলিল, নীলফামারী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা বাবু বঙ্কু বিহারী রায়, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম আবু, সাবেক ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন মহি, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি খয়রাত হোসেন শাহ্ প্রমূখ। উল্লেখ নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এর উদ্যোগে এবং নীলফামারী টাউন ক্লাবের সহায়তায় মাঠের বিরাট অংশ জুড়ে মাস ব্যাপী বাণিজ্য মেলা গত ২০ জুলাই শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঈদুল আজহার আগে মেলা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মিছিল সমাবেশে তা ভেস্তে যায়। দেড়মাস বিলম্বে গত ১ সেপ্টেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর মেলা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও একটি বিশেষ মহল যোগসাযোশে বিভিন্ন দপ্তরে তদ্বির করে অনুমোদনহীন ভাবে নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাত্র বিশ গজ দূরে সার্কাস প্যান্ডেল বসিয়ে বাণিজ্য শুরু করে মেলা আয়োজকরা। আসছে নভেম্বরে বার্ষিক ও সমাপনি পরীক্ষা নিয়ে যখন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তখন বাণিজ্য মেলা ও সার্কাস নিয়ে বিভিন্ন মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এদিকে মেলার সময় বৃদ্ধির জন্য ওই মহলটি দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে।