লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা হাটের ইজারা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সির্ন্দুনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা অবস্থা বিরাজ করছে। এনিয়ে উভয় পক্ষে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার ছিলো হাতীবান্ধা হাটের ইজারা নিয়ে দরপত্র দাখিলের শেষ সময়।
জানা গেছে, আমিনুর রহমান ও পারভেজ হোসেন নামে দুই ব্যক্তি দরপত্র দাখিল করেন। কিন্তু সির্ন্দুনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরল আমিনের অভিযোগ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহান ও সম্পাদক পারভেজ হোসেন নির্ধারিত সময়ের পরে এসে জোর পুর্বক দরপত্র দাখিল করেন।
তবে সির্ন্দুনা ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন।
এ দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক পারভেজ হোসেন ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগে দাবী করেন, সির্ন্দুনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরল আমিন অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দরপত্র দাখিলে বাঁধা দেয়ার পাশাপাশি হাট ইজারা নেয়ার জবর দখলের চেষ্টা করছেন।
ছাত্রলীগের অভিযোগ মিথ্যাচার বলে দাবী করছেন সির্ন্দুনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরল আমিন। আর ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহান সির্ন্দুনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরল আমিনের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন। চেয়ারম্যান নুরল আমিন পেশীশক্তির প্রভাব দেখিয়েছেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, নিয়ম মেনেই দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাহিরে কি ঘটেছে তা আমার জানা নেই।