কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সড়কের বেহাল অবস্থা হয়ে পুকুরের মতো গর্ত হয়ে গেছে। মাচচাষ করার সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রতিবাদ করেছে স্থানীয়রা। এমন চিত্র চোখে পড়েছে উপজেলার কেদার ইউনিয়নের কচাকাটা বাজার সড়কে। আর তাই মাছ চাষ ও ধানের চারা রোপন করে প্রতিবাদ মাঝখানে খুটি গেড়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ।
স্থানীয়রা জানায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই বড় বড় গর্তে পানি জমে পুকুরের মতো হয়ে যায়। সড়কটির খানাখন্দে কাদা জমে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়ে পথচারী। এদিকে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপা¬¬¬তের সড়কটিতে চলাচলের অনুপেযোগী হয়ে বন্ধ হয়ে গছে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল। ক্ষুব্ধ জনসাধারণ বুধবার সকালে সড়কে ধানের চারা এবং খালে মাছ ছেড়ে সাইনবোর্ড লাগায়। তাতে লেখা ছিলো “এখানে ধান এবং মাছ চাষ করা হয়”।
কচাকাটা বাসস্ট্যান্ড হতে বাজারগামী সড়কটির এই বেহাল অবস্থায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কচাকাটা বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ী, কচাকাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কচাকাটা উচ্চবিদ্যালয় ও কচাকাটা কিন্ডার গাটেনের দেড় শহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীসহ বাজার করতে আসা কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। এছাড়াও সড়কের বেগাল দশায় ব্যবসায় খ্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। ভারী যানবাহন না চলায় তাদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ফলে আশানুরূপ লাভের মুখ দেখছেন না তারা। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ পোহালেও এ ব্যাপারে নজর নেই কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য তাদের একমাত্র ভরসা এই রাস্তা। যেটি বছরের পর বছর কাদা পানিতে ভরে থাকে। অতি কষ্টে চলাচল করতে হয়।
এ ব্যাপারে কেদার ইউপি চেয়াম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, রাস্তাটির কিছু অংশ ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে পাকাকরণ করা হয়েছে। আরো কিছু অংশ পাকা করণের চেষ্টা চলছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, সড়কটি সরকারের কোন বিভাগের তালিকায় নেই। ফলে নিয়মিত বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয় না। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় এডিপির বরাদ্দে কিছুটা অংশ পাকাকরণ করা হয়েছে। এডিপি এবং এলজিএসপির বরাদ্দে বাকিটা পাকাকরণের জন্য চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।