বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় সরকারি খালে বাধঁ দিয়ে মাছ চাষ করে অসছিলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বাধেঁর কারে পানি বন্দি হয়ে পরেছিলো প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই বাঁধ কেটে দিয়েছে পানিবন্দি মানুষেরা।
স্থানয়ি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালুপাড়া-তালতা খালে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে স্থাণীয় প্রভাবশালীরা। এ কারণে গৈলা ও রতœপুর ইউনিয়িনে রামের বাজার, বরিয়ালী, চাপচুপা, ঘোড়ারপাড়, ছয়গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছিল। খালে বাঁধ দেয়ার কারণে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মাছ চাষ করার কারণে পানি দূষিত হয়ে পরে। পানি নষ্ট হয়ে এলাকায় মশা-মাছি ও বিভিন্ন প্রকার পোকা-মাকড়ের জন্ম হয়। সাধারণ জনগণ বৃহস্পতিবার দুপুরে রামেরবাজার ও কালুরপাড় নামক স্থানে দুটি অবৈধবাঁধ কেটে দিয়েয়ে খালে পানি চলাচল উন্মুক্ত করে দয়ে এলাকাবাসী।
রামের বাজার এলাকার ইয়াছিন সরদার বলেন, অবৈধ দুটি বাঁধের কারণে রামবাজার, বরিয়ালী ও ছয়গ্রাম এলাকার মানুষ পনি বন্দি ছিলাম। খালে বাঁধ দিয়ে প্রভাবশালীরা আমাদের প্রায় ২০বছর ধরে পানি বন্দী করে রেখে ছিল। আজ আমরা এলাকাবাসী বাঁধ কেটে দিয়েছি।
আগৈলঝাড়ায় উপজেলার গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মসিউর রহমান বলেন, স্থানীয় জনগণ গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান টিটুর কাছে পানি বন্দির কথা বলেন। চেয়ারম্যান এর পরামসে আজ স্থানীরা অবৈধ বাঁধ দুটি কঁটে দিয়েছে। আজ সাধনর মানুষের মুখে হাসি। তারা আজ দুষিত পানি, দুরগন্ধ যুক্ত পানি ও মশা থেকে মুক্ত।
আগৈলঝাড়ায় উপজেলার গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য সুশান্ত সরকার কালু বলেন, প্রভাকশালীরা সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলো। বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা বাঁধ কেটে দিয়ে খালে পানি চলাচল মুক্ত করে। এত কৃষকের ভালো হয়েছে।
এব্যাপার আগৈলঝাড়ায় উপজেলার গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান টিটুর সাথে বার যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।