নাসিরনগরে ২২ বছর বয়সেও প্রতিবন্ধী ভাতা জোটেনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাতা। জম্ম থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও দীর্ঘ সময়ে তার ভাগ্যে সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা জোটেনি।কোরআনে হাফেজ খাইরুল ইসলাম প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য ঘুরছে মেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক গ্রামের কালন মিয়ার ছেলে খাইরুল জম্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে প্রতিবন্ধী খাইরুল সবার ছোট। স্ত্রী এবং চার সন্তান নিয়ে অসুস্থ পিতা কালন মিয়া চরম কষ্টে সংসারের ঘানি টানছেন।২০১৩ সালে খাইরুলকে শ্রীমঙ্গল লুৎফুর রহমান হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। খাইরুল হাফিজি পাস করে বের হলেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোন মসজিদ মাদ্রাসায় কেউ রাখছেন না।কর্মহীন হাফেজ খাইরুল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।বেড়ে যায় সংসারের বোঝা। কিন্তু এতদিন পরেও সরকারি সহায়তা কিংবা প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে না।প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে নাসিরনগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগার করে জমা দেন। এখনও ভাতা পাওয়ার কোন আশ্বাস পাননি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ খাইরুল ইসলাম আকুতি করে জানান,অভাবের সংসারে যদি প্রতিবন্ধী ভাতা পেতাম তাহলে কিছুটা হলেও দুঃখ কমবে।এবিষয়ে বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মুকুল জানান,বিষয়টি আমি অবগত নই। আমি অবশ্যই বিষয়টি দেখবো এবং প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করবো। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।