চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের আঁচ এতদিন সরাসরি গায়ে না লাগলেও ইতোমধ্যে তাপ অনুভব করে ফেলেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। পত্রিকার পাতায় এমন সংবাদ যারা লিখছেন, অভিযোগ আছে- সেই সংবাদককর্মীদের একাংশও বিক্রি হয়েছে এই যুবলীগ নেতাদের কাছে। এমন কি আঙ্গুল উঠেছে খোদ জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, রিপোর্টার্স ইউনিটি সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের শীর্ষ নেতা; সাবেক নেতাদের দিকেও। হয়তো একারণেই সবাই সটকে পড়ার চেষ্টা করছে। তবে এবার বুঝি আগুনের আঁচটা তার শরীরেও লাগতে যাচ্ছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সব ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট থেকে ওমর ফারুক চৌধুরীর সব ব্যাংক হিসাব তলব করে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো- ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংগঠন ছাত্র সংঘের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এই যুবলীগ নেতা। সেখান থেকে উঠে এসে ২০০৩ সালে যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হন ওমর ফারুক। এর আগের কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আর ২০১২ সালে হন চেয়ারম্যান। এরপর থেকে যুবলীগে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের শীর্ষ পদ পাওয়ার পর বেশ ধনাঢ্য জীবন যাপন করছেন তিনি। যদিও তার দৃশ্যমান কোনো ব্যবসা বা আয়ের উৎস নেই। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর থেকেই সমালোচিত হচ্ছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। অনেকে বলছেন, এমনই ভাগ্য ওমর ফারুকের, ৬৪ বছর বয়সে হয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। অথচ যুবলীগের ইতিহাসে এর আগে ৫০ বছরের বেশি বয়সি কেউ চেয়ারম্যান হননি। ১৯৭২ সালের ? নভেম্বরে শেখ ফজুলল হক মণি যখন যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তার বয়স ছিল ৩২ বছর। ২০১৭ সালের জাতীয় যুবনীতি অনুসারে, '১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক যুব হিসেবে গণ্য হবে।' কিন্তু যুবলীগ চেয়ারম্যানের বর্তমান বয়স ৭১ বছর। তিনি সাত বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর কমিটি করার কথা। শুধু তিনি নন, যুবলীগের নেতাদের আরও অনেকের বয়স ৬০ পেরিয়ে গেছে। ১৯৪৮ সালে জন্ম নেয়া ওমর ফারুক চৌধুরী সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম জেলা বিড়ি শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা এসএম ইউসুফ ছিলেন তার রাজনৈতিক মুরব্বি। বিড়ি শ্রমিক লীগের নেতা হয়ে মিয়ানমার থেকে টেন্ডু পাতা আমদানি শুরু করেন ওমর ফারুক। তামাকের বিকল্প এ টেন্ডু পাতা বিড়ির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় আসার সময় ওমর ফারুক শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা নাজিউর রহমান (মঞ্জু) এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য হলে ওমর ফারুক দল বদল করেন। জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন যুব সংহতির চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ওমর ফারুক চৌধুরী নাজিউর রহমানের ভায়রা এবং শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভগ্নিপতি হওয়ায় আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বলে আমি মনে করি। অনেকবার বলেছি, লিখেছি- ‘৭০ বছরের বুড়ো কিভাবে যুবক হয়; তার উপর আর যুবলীগ সভাপতি?’ কেউ এদিকে ফিরে তাকায় নি বরং ধান্দা আর চান্দায় ব্যস্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাংশ স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়েছে। যে কারণে আজ দিতে হচ্ছে চরম মাশুল।
আওয়ামী লীগের যারা দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে, এর ঢেউ দলের এবারের সম্মেলনেও পড়বে। এর প্রভাবে ২০-২১ ডিসেম্বরের সম্মেলনটিতে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত দলটির নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা উঁকি দিলেও শেষ পর্যন্ত দুর্নীতিবাজরাই ঘুরে দাঁড়াবে। যদিও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্নীতির ব্যাপারে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা
বাস্তবায়নে তিনি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা যাতে দলটিতে স্থান না পান, সে ব্যাপারেও তিনি কঠোর অবস্থানে। এর ফলে এবারের সম্মেলনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বর্তমানে দলের বিভিন্ন পদে থাকা অনেক নেতাই বাদ পড়বেন। আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের মেয়াদোত্তীর্ণ সব সাংগঠনিক জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড সম্মেলন আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশ পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে এই নির্দেশ অনুযায়ী তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই সম্মেলন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আটটি সাংগঠনিক টিম। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কমিটিতে বিভিন্ন পদে থাকা দলের কোন নেতার অবস্থান কী, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সম্প্রতি দুর্নীতি, অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করা হয়েছে, তা থেকে আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরের কেউ ছাড় পাবে না। অবশ্য এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতিবাজ দল, মত, আত্মীয় বা পরিবারের হলেও কেউই ছাড় পাবেন না। প্রধানমন্ত্রীর এ হুঁশিয়ারির প্রভাব দলের সম্মেলনেও পড়বে। সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নতুন কমিটিতে ক্লিন ইমেজের নেতারাই ঠাঁই পাবেন। বাদ পড়বেন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ও বিতর্কিতরা। তৃণমূল পর্যায়ের বর্তমান কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি, সম্পাদকমন্ডলী বা সদস্য- যাদের বিরুদ্ধে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ আছে, তারা নতুন কমিটিতে আর স্থান পাবেন না।
কেন যেন মনে হচ্ছে- জাতীয় সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ (কেন্দ্রীয় কমিটি) থেকেও অনেকে বাদ পড়বেন। সভাপতিমন্ডলী থেকে শুরু করে সম্পাদকমন্ডলী, কার্যনির্বাহী সদস্য- প্রতিটি পর্যায়েই বাতিলের তালিকায় রয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্য এমন নেতারাও আছেন। বিগত কয়েকটি সম্মেলনের মধ্যে এবারের সম্মেলনে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতৃত্বের পরিবর্তনটা অনেক বড় এবং নজিরবিহীন হবে। আর সর্বস্তরের এই পরিবর্তনের জায়গাগুলোতে ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা নেতা, বিশেষ করে যারা সংগঠনটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বা শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বে ছিলেন এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখছেন, তাদের একটি অংশ স্থান পাবে।
কি হবে আর হবে না, তারচেয়ে বড় যে বড় সমস্যাটি সারাদেশে চোখে পড়ছে- সেটি হলো নিরব চাঁদাবাজী কিছুটা কমেছে। আর একারণেই জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন ঘিরে তোষামোদকারীরা এবার নীরব ছিলেন ঢাকার অনেক সাংসদের নামে নেত্রীর জন্মদিনের অভিনন্দন বার্তার পোস্টার ও ব্যানারও এবার দেখা যায়নি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোরতা ও চলমান শুদ্ধি অভিযানের কারণে এবার তার জন্মদিন ঘিরে চাঁদাবাজি করতে পারেনি দল ও সংশ্লিষ্ট নামধারী অনেক সংগঠন এবং নেতা। অন্যের কাছ থেকে এই উসিলায় চাঁদা আদায় করে যারা এতদিন দোয়া, মিলাদ, দরিদ্র ভোজসহ নানা আয়োজন করতেন তারা এবার তার ধারে কাছেও যাননি। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবরই এ ধরনের আয়োজনের বিরুদ্ধে। তিনি অনাড়ম্বরভাবে তার জন্মদিন পালনে বিশ্বাসী। তবুও এতদিন তাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের আনন্দ অনুষ্ঠানে আপত্তি জানালেও বাধা দেননি। কিন্তু গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, চাঁদাবাজির টাকা হালাল করার উদ্দেশ্যে পালিত জন্মদিনের আয়োজন তিনি চান না। এরপর থেকে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নামধারী নেতাকর্মী এমনকি অনেক পদধারীও সতর্ক হয়ে গেছেন। যদিও গত কয়েক বছরের মতো এবারও জন্মদিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন শেখ হাসিনা। দিবসটিকে ঘিরে এর আগে বিভিন্ন সংগঠন বা ব্যক্তির পোস্টার-ফেস্টুন, ব্যানার, মানববন্ধনসহ অন্যান্য আয়োজনের যে আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে এবার তা দেখা যায়নি। এমনকি বিভিন্ন অধিদপ্তর বা বিভাগের পদধারী যারা এর আগে নানা ধরনের আকর্ষণীয় পোস্টার-ফেস্টুন-ব্যানারে শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে নিজের প্রচার-প্রচারণা করতেন তারাও এবার তা থেকে বিরত রয়েছেন। দলে পদ পাওয়ার আশায়, বিভিন্নস্থানে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা কায়দায় 'জন্মদিন' ব্যবহার করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করতেন তারা যেন উধাও হয়ে গেছেন। এমনকি রাজধানীর অনেক সংসদ সদস্যের নামে এর আগে প্রচারিত 'তাদের প্রিয় নেত্রীর জন্মদিন'র অভিনন্দন বার্তার পোস্টার বা ব্যানারের দেখা এবার মেলেনি। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে রাজধানী জুড়ে ব্যানার-পোস্টার লক্ষ্য করা গেছে। তাও নিয়ন্ত্রণহীন নয়।
গণমাধ্যমের প্রিয় নাম- সোহেল হায়দার চৌধুরীর এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে মনে হলো- তাইতো রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, আবদুল গনি রোড, সচিবালয়ের চারপাশ, জাতীয় প্রেসক্লাব, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের অংশ, বিজয় সরণি গোল চত্বর, সংসদ অ্যাভিনিউ, গণভবনের দুই পাশসহ প্রধানমন্ত্রী যেসব স্থান দিয়ে গমনাগমন করতেন সেসব স্থানে এবার পোস্টার-ফেস্টুন বা ব্যানারের অতিরঞ্জন নেই। সহযোগী সংগঠনের নেতারাও এ দিনকে ঘিরে বাড়তি কোনো পোস্টার-ফেস্টুন বা ব্যানার উৎসব করতে সাহস পাননি। এসব স্থানে যারা জন্মদিনকে ঘিরে শেখ হাসিনার ছোট ছবি আর নিজের বিশাল ছবি দিয়ে অতিমাত্রায় প্রচারের লালসায় বিভিন্ন ভবনের দেয়াল, বাস-ট্রাকের পেছনাংশসহ বিভিন্ন যানবাহনে পোস্টার সাঁটাতেন হঠাৎ করে তারাও যেন শুধরে গেছেন।
তবে বলা হচ্ছে- শুদ্ধি অভিযানের কারণে এবার জন্মদিন ঘিরে সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারী চক্র চাঁদাবাজির উৎসবে মেতে উঠতে পারেনি শেখ হাসিনার কঠোরতার কারণে। সে কারণে পোস্টার-ফেস্টুন-ব্যানারের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারী, চাঁদাবাজ, সুবিধাবাদী চক্র বিভিন্ন অসিলায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে তাদের নাম ভাঙিয়ে অনুষ্ঠান করে কৌশলে নিজেদের আখের গোছাত। এবার তাতে ধাক্কা লেগেছে। এটা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর চলমান লড়াইয়ের একটি বড় সাফল্য।
এখন দেখতে হবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলে এই সাফল্য কতটা স্থায়ী হয়। আমরা অপেক্ষায় আছি ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত। ২২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে সেই দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দীগঞ্জের পাতারহাট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাালয়ের উত্তাল পথ মাড়িয়ে এন পুরানা পল্টনের মত ঐতিহ্যবাহী এলাকাতে থেকে কেবলই মনে হচ্ছে পরিবর্তন আসছে। তবে তা আওয়ামী লীগেরই শুধু নয়; আমূল পরির্বতন নতুন প্রজন্মের প্রতিটি প্রতিনিধির ইচ্ছের জন্য-নিবেদিত থাকার জন্য। যারা ক্যাসিনো নয়; দুর্নীতি নয়; অন্যায় নয়; খুন বা গুম নয়; ব্যালটের অধিকার হরণ নয়; সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নয়; আছে, ছিলো, থাকবে বায়ান্ন হয়ে একাত্তর এবং বর্তমানে-আগামীতে। দেশ-মানুষ-সমাজ-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতির রাস্তার ধরে লড়াই করে এগিয়ে যওয়ার জন্য শুভকামনা, নতুনীয় শুভেচ্ছা সবাইকে বিজয় বাংলাদেশ বজয় নতুনধারা...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি