নেত্রকোনার কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের ডোয়ারিয়াকোনা সার্বজনীন কবরস্থানটি হুমকির মুখে পড়েছে। এর মধ্যে মেইন রাস্তা হতে কবরস্থানে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটিও নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৮ সালে চান্দুয়াইল গ্রামের তাহের আলী সার্বজনীন কবরস্থানের নামে ৪ একর জমি দান করেন। তারমধ্যে সম্প্রতি ১.৫ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কলমাকান্দা, ডোয়ারিয়াকোনা, চান্দুয়াইল, চানপুর, বাদে আমতৈল, আনন্দপুর, বিশাড়া. চিনাহালা, শালজানসহ ১০-১৫টি গ্রামের একমাত্র ভরসা ওই কবরস্থানটি।
শনিবার বিকেলে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, উব্দাখালী নদীর তীরবর্তী ডোয়ারিয়াকোনা গ্রামের নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর পানি কমতে শুরু করায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। উব্দাখালী নদীর তীব্র ভাঙনের স্বীকার হয়ে ইতোমধ্যে কবরস্থানের প্রায় ১.৫ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভাঙনের কবলে পরে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে ওই কবরস্থানটি।
অবিলম্বে এই ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিসহ সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয়ে সুদৃষ্টি কমনা করেন স্থানীয়রা। চান্দুয়াইল গ্রামের বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান কবরস্থানটি ভাঙনের কবলে পরলেও এ পর্যন্ত ভাঙন ঠেকাতে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন কার্যকরী উদ্যোগ নেয়নি। জরুরী ভিত্তিতে কবরস্থানের গাইড ওয়াল নির্মাণ করা না হলে কবরস্থানটি নদীতে বিলিন হয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল জলিল স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি নদী গর্ভে কবরস্থানের জায়গা ভাঙে পড়ায় জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে একটি গাইড ওয়াল নির্মাণ করার জন্য সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার যোগাযোগ করেও এর কোন সুরাহা হয়নি। প্রায় ৫ বছর পূর্বে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে গাইড ওয়াল নির্মানের লক্ষে পরিকল্পনা করলেও আজও তা বাস্তবে পরিনত হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।