টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে গৃহবধূ ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের বাটপাড়া গ্রামে ২৪ বছর বয়সের গৃহবধূকে প্রতিবেশী মৃত আফাজউদ্দিনের ছেলে ২ সন্তানের জনক জাহাঙ্গীর মিয়া (৪০) বাড়ির অন্য সদস্যদের অনুপস্থিতিতে বসতঘরে ঢুকে জোড়পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দিতে যায়। থানা অভিযোগ নিয়ে প্রথমে আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা বলে বাদীর অভিযোগ আমলে না নিয়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়। ১২ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দেন। রোববার সরেজমিন ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, গত ১৬ জুলাই দুপুর ১২ টায় স্বামী ও শ^শুর-শ^াশুরির অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে জড়িয়ে ধরে এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গে স্পর্শ করে। এ সময় ডাকচিৎকার করার চেষ্টা করলে সে মুখ চেপে ধরে জন্তু জানোয়ারের মত জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। অনেক চেষ্টার পর তার কবল থেকে মুক্ত হয়ে ডাকচিৎকার দেই। পরে সে চলে যায়। এবং যাওয়ার সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। শ^শুর-শ^াশুরি বাড়ি এলে তাদের ঘটনা জানানো হয়। শ^শুর তারা খান জাহাঙ্গীরের নিকট গিয়ে ঘটনার কৈফিয়ত চাইলে তিনি বলেন আপনি বাড়ি যান আমি আসছি। পরে বাড়িতে এসে শ^শুর-শ^াশুরির পা জড়িয়ে ক্ষমা চান এবং কাউকে না জানানোর অনুরোধ করে। শ^শুর-শ^াশুরি ঢাকায় চাকরিরত স্বামীকে জানালে তিনি থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন। ৩০ জুলাই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ নিয়েও থানা বিবাদিকে আটক করে। পরে স্থানীয় চেয়াম্যানের মাধ্যমে মিমাংসার কথা বলে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়। চেয়ারম্যানের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার স্বামী-সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
এব্যাপারে ডুবাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস মিয়া জানান, ঘটনার পর বাদী পক্ষ আমার নিকট এলে আমি তাদের থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেই। শুনেছিলাম থানায়ই নাকি ঘটনাটি মিমাংসা হয়েছে। কিন্তু শনিবার পিবিআই ঘটনার তদন্তে এলে জানতে পারি আদালতে মামলা হয়েছে।