দুর্গা পুজার দীর্ঘ কয়েক দিনের ছুটির সুযুগকে কাজে লাগিয়ে সাপাহার সরকারী ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থিত দু’টি বিশালাকৃতির ইউকেলিপটাস কেটে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে চলতি হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গা পুজার ছুটির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকে। এই সুযুগে কলেজের অধ্যক্ষের অবর্তমানে কয়েকজন শিক্ষক কলেজে প্রবেশের গেট বন্ধ করে রোববার বিকেলে ১৯৮০দশকে কলেজ ক্যাম্পাসে রোপনকৃত বিশালাকৃতির দু’টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলে (যার আনুমানিক মূল্য লক্ষাধীক টাকা) এরপর কর্তন কৃত গাছগুলিকে বাহিরে পাঠানোর জন্য ট্রলিতে লোড করে কলেজের মধ্যে রাখা হয়। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদ কর্মী সেখানে গিয়ে কৌশলে কলেজে প্রবেশের গেট খুলে ভিতরে প্রবেশ করলে এ দৃশ্য দেখতে পায়। এ সময় মজিদুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক সাংবাদিকদের দেখে গাছের ছবি তুলতে নিষেধ করে এবং গাছ দু;টি কলেজের উন্নয়ন কাজে লাগানো হবে বলে জানান। এলাকাবাসীর প্রশ্ন সরকারী কলেজের উন্নয়নে সরকারই যথেষ্ট, সরাকারী সম্পত্তিতে থাকা যে কোন গাছ কর্তনে সরকারী নিয়ম নিতী থাকলেও তার কোন তোয়াক্ক না করে কি উদ্দেশ্যে বৃহত বৃহত গুছগুলি কর্তন করা হলো এই প্রশ্ন এখন সদরের লোকজনের মুখে মুখে। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ¦ মুজিবুর রহমানের সাথে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি তিনি রিসিভ না করায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ছুটিতে থাকায় তার সাথেও যোগাযোগ করা যায়নি। শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাহজাহান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেনা বলে জানান। এ বিষয়ে স্থানীয় থানায়ও কোন প্রকার অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আ: হাই নিউটন জানায়। সরকারী নিয়মনিতী না মেনে সরকারী প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তন কারয় বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।