আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদার দাবীতে প্রকাশ্য দিবালোকে জিয়াউল হক জুয়েল (৪০)নামের এক সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে কোপালো প্রতিপক্ষের নেতা কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে শহরের বনানী এলাকা সুলতানগঞ্জ হাটের একটি চা স্টলের সামনে। মূমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন তিনি।
আহত জিয়াউল হক জুয়েল বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং গন্ডগ্রাম এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা আনুমানিক বেলা ১২ টার দিকে জিয়াউল হক জুয়েল এলাকার সুলতানগঞ্জ হাটে তার ব্যাক্তিগত মোটর সাইকেরে করে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যান। এমন সময় বগুড়া পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল আলম হিরু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার টিক্কা সহ অস্ত্রধারী কয়েক জন দলীয় সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে তার উপর আতর্কিতে হামলা চালায়। সূত্র ,জানায় হিরু ও টিক্কা দলবল নিয়ে গিয়ে অতর্কিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে থাকে। এর একপর্যায়ে মাথা ও হাতে গুরুতর আহত হয়ে তিডিন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাকে মৃত ভেবে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।। পরে। স্থানীয়রা মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আহত জিয়াউল হক জুয়েল সাংবাদিকদের জানান, সুজাবাদ এলাকায় ইয়ন গ্রুপের কিটনাশক ওষুধ কোম্পানীর কারখানা থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে প্লাষ্টিক বস্তা নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসার করতেন। বেশ কিছুদিন আগে থেকে বগুড়া পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল আলম হিরু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার টিক্কা ওই ব্যবসায় ভাগ চায় এবং মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছিল। তাদের চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা মেরে ফেলা সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়। আহত জুয়েল আরো বলেন চাঁদা না দেয়ার কারণেই তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য লোকজন নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদুল আলম হিরু জানান, কিছুদিন আগে ইয়ন গ্রুপের টেন্ডার নিয়ে জুয়েল তার দলবল নিয়ে এসে হঠাৎ করে তাকে মারপিট করে। ওই ঘটনায় সোমবার সুলতানগঞ্জ হাটে জুয়েলকে দেখে সেদিনের মারার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আবারো জুয়েল তাকে মারপিট করে। একারণেই তাকে পাল্টা কিল ঘুষি মারা হয়েছে মর্মে তিনি সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরো বলেন এসবে কোন ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীন জানান, ঘটনা এবং দ্বন্দ যাই হোক এধরনের হামলা চালিয়ে তাকে উপুর্যুপরি ভাবে কোপানো ঠিক হয়নি। এর উপযুক্ত সুরাহা হওয়া দরকার।
শাহজাহানপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) আজিম উদ্দিন জানান, ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছির। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে মর্মে জানান এই পুলিশ কর্মকার্ত।
অন্যদিকে শেষ খবর পর্যন্ত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল মর্মে খবর জানা গেছে।