যশোরের চৌগাছা উপজেলা ৫০ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি রুমের বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় শহিদ পিয়াস ওরফে রনি আজম এবং সালমা খাতুন নামের দুই যুবক-যুবতীতে আটকের পর থানা পুলিশে দেয়া হয়েছে। শহিদ পিয়াস ওরফে রনি আজম উপজেলার আজমতপুর গ্রামের কুব্বত আলীর ছেলে। আর সালমা খাতুন স্বামী পরিত্যাক্তা। চৌগাছা শহরে বাসাভাড়া করে থাকেন।
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা বলেন, সোমবার (৭ অক্টোবর) হাসপাতালে ফ্যামিলি প্লানিংয়ের ওটি শেষে স্টাফরা সেখান থেকে চলে যায়। বেলা ২টার দিকে কর্মচারীরা ওটি সামগ্রী গোছাচ্ছিলেন। এ সময় চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটের মধ্যে শহিদ পিয়াস রনি এবং সালমা খাতুন নামের ওই দুই যুবক যুবতীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের আটক করে অফিসে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে রোগি ও স্বজনদের চাপ এমনিতেই বেশি। এরইমধ্যে কোন এক সময়ে হয়ত তারা ওখানে গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় মিলিত হন। এ অবস্থায় আটকের পর জনরোষের শিকার হতে পারে। একারণে আমরা তাদের পুলিশে সোপর্দ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
চৌগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাওছার আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তপক্ষ তাদের আটক করে আমাদের হেফাজতে দিয়েছেন। ওসি স্যারের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।