ইউএনও’র হস্তক্ষেপে দাকোপে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল। এ ঘটনায় ঘটকের ১৫ দিন এবং ছেলের পিতার ৭দিন বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবদুল ওয়াদুদ জানায়, চালনা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাহবুব শেখের কিশোরী কন্যা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর (১৫) বিয়ের আয়োজন করা হয়। তারই অংশ হিসেবে গত ৭ অক্টোবর সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বর্ণি সায়েরাবাদ গ্রামের সিরাজ শেখের ছেলে কনের বাড়ীতে বরযাত্রীসহ হাজির হয়। এমন তথ্য পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ সেখানে হাজির হলে উভয় পক্ষের লোকজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বর, বরের পিতা এবং বিয়ের ঘটককে আটক করে। ওইদিন রাতে আটককৃতদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হয়। বাল্য বিয়ের প্রস্তুতির অপরাধে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল ওয়াদুদ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিয়ের ঘটক রামপালের বর্ণি সায়েরাবাদ গ্রামের ছাত্তার হাওলাদারের ছেলে জিহাদ হাওলাদারকে (৫০) ১৫ দিন এবং বরের পিতা একই গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলী শেখের পুত্র সিরাজ শেখকে (৬০) ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করে। তবে বরের বয়স কম থাকায় তাকে মুচলেকা গ্রহনের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।