হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে সিরাজদিখান তালতলা বাজারের শতবর্ষের ঐতিহ্য দশমী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মেলাকে ঘিরে প্রতিবছরের ন্যায় প্রতিমা প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারের লক্ষ্মী কালী মন্দিরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মহিউদ্দিন আহমেদ, এডিসি (শিক্ষা) খান মো. নাজমুল সোয়েব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার। উপজেলা আওয়ামী লীগ মহিলা সম্পাদিকা ও পুজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সীমা রানী ব্যানার্জী’র সভাপতিত্বে আরো অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এনডিসি রুফকুল ইসলাম, কমিশনার রিয়াজুল ইসলাম, কমিশনার ইলিয়াছ শিকদার, থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন।
সহকারি অধ্যাপক প্রিয় শঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও রশুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক ঢালী মো. শহিদুল ইসলাম, মালখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আনিছ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান, লক্ষী কালী মন্দিরের সভাপতি সংগ্রাম দাস, সাধারণ সম্পাদক অনিল কুমার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ৯ টি প্রতিমা অংশগ্রহণ করে। দুই গ্রুপে পুরস্কার দেওয়া হয় ক গ্রুপে টঙ্গবিাড়ি উপজেলার শিলিমপুর প্রথম স্থান অধিকার করে ও সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা মন্ডপের প্রতিমা ২য় ও তালতলা মন্ডপের প্রতিমা ৩য় হয়। তাদেরকে এলইডি টেলিভিশন পুরাস্কার দেওয়া হয়। এর আগে মেলাকে ঘিরে বসে নানা প্রকার মুখ রোচক খাবার, খেলনা, প্রসাধনিসহ বিভিন্ন প্রকার সামগ্রীর দোকান। রাতে বাজারের ডাক বাংলার সামনে ধলেশ^রী নদীর পারে বসে প্রতিমা প্রতিযোগিতা। মেলাকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুরে ভীর জমে।