লক্ষ্মীপুরের কমলনগর মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরার অপরাধে ১৪ জেলেকে ১ মাস করে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া একই অভিযোগে রামগতিতে ৫ জেলেকে আটকের পর ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। পুলিশ জানান,দন্ডপ্রাপ্তরা হলো আজগর (২০),আমীর হোসেন (৪৮),ফারুক (৪০),মুছা কালিমুল্লা (৪২), আনোয়ার (৩২),আলাউদ্দিন (৩২), হাসান (৪৫),রিপন (৩৫), আরিফ (৪৫), জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৭) সুজন (২৫), হেলাল (৫৫), মো.গতি (২০), শাহিন (১৭)সহ ১৪ জন। প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদ- প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এদের বাড়ী রামগতির ও কমলনগর উপজেলায়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো ইমতিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরার অপরাধে ১৪ জেলেকে ১ মাস করে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে কমলনগরের মেঘনা নদী থেকে ১৪ জেলেকে আটক করেছে মৎস্য বিভাগ। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়ে আদালতে তারা তাদের দোষ সিকার করেন। পরে আদালত ১৪ জনকে এক মাস করে কারাদ- প্রদান করে।
কমলনগর থানার ওসি মো.ইকবাল হোসেন জানান, পুলিশের সহযোগীতায় মেঘনা নদী থেকে ১৪ জেলেকে আটক করেছে মৎস্য বিভাগ। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। এর ১৪ জনকে এক মাস করে প্রত্যেককে কারাদ- প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে দুপুরে সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ ছাড়া রামগতিতে আরো ৫ জেলেকে আটকের পর অর্থদন্ড করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যা জানান, এ জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধধিত রয়েছে ৪২ হাজার জেলে। এদের সবাই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ সময় বরফ কলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অন্য কোথাও থেকে বরফ আসতে না দেওয়া নদী সংলগ্ন খাল থেকে নৌকা বের হতে না দেয়া,মাছঘাট সংলগ্ন বাজারের নৌকা ও ট্রলারের জ¦ালানি তেলের দোকান বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান,ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষোধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসময মাছ শিকার,পরিবহন,মজুদ ও বাজারজাতকরন অথবা বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিদিন নদী মৎস্য বিভাগ,জেলা প্রশাসন ও কোষ্টগার্ডের যৌথ অভিযান চলবে। এ আইন আমান্য করলে ১ থেকে ২ বছরের জেল অথবা জরিমানা এবং উভয়দন্ডের বিধান রয়েছে।
এ দিকে স্থানীয় জেলেদের দাবী, সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে না যাওয়ার ঘোষনা দিলেও সরকারী প্রনোদনা সঠিকভাবে প্রকৃত জেলেরা পান না বলে অভিযোগ করেন জেলেরা। প্রকৃত জেলেদের মধ্যে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাউল বন্টন করার আহবান জানান। তাহলেই সরকারের এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে।