সাতক্ষীরা তালায় আপন ভাই ও ভ্রাতুষ্পুত্রদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বসতবাড়ির ২ শতাংশ জমির জবর দখলের অভিযোগ করেছেন অপর ভাই শফিকুল ইসলাম সানা। এ ঘটনায় স্থানীয় পাটকেলঘাটা থানায় এশটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানাগেছে যে, তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার দাদপুর গ্রামের মৃত রহিম বক্স সানার ছেলে সিরাজুল ইসলাম সানা তার ৩ ছেলে আশরাফুল আলম(২৫), শরিফুল ইসলাম(৩২) ও সাইফুল ইসলাম (২২) সহ অজ্ঞাতনামা আরো আরো ৫/৬ জনকে সাথে নিয়ে গত ৪ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে লোহার রড,কুড়াল,হাতুড়ী,হাতুড়ী,বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আকস্মিক রহিম বক্স’র অপর ছেলে শফিকুল সানার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পাকা টয়লেট ও গোয়াল ঘর ভাংচুর,বিচালীর গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় হামলাকারীরা পাকা প্রাচীর ভাংচুর ও বাড়ির মধ্যের ৫/৬ টি মেহগনি গাছ কর্তনফ’র্বক প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। এর আগে তারা পরিকল্পিতভাবে এশটি দুধ ওয়ালা গাভী মেরে ফেলে বলে অভিযোগে জানা গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা শফিকুলের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম (৫০),কন্যা মোছা: জেসমিন খাতুন (২৫) ও ছেলে মেহেদী হাসান (২০) কে বেধড়ক মারপিট করে। সামগ্রিক ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিবেশীদের অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও ভয়ে তাদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনায় ঐদিনই পাটকেলঘাটা থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দখল কার্যক্রম বন্ধ করে উভয় পক্ষকে কাগজ-পত্রাদিসহ থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসেন। তাৎক্ষণিক দখল কার্যক্রম বন্ধ রাখলেও মঙ্গলবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিজয়া দশমী থাকায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ছুটিতে থাকার সুযোগে দখলদাররা ফের প্রায় ২ শতাংশ জমির দখল নিয়ে নিয়েছে। এদিকে সর্বশেষ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম সানা ফের পাটকেলঘাটা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদের নিকট জানতে চাইলে তিনি এপ্রতিনিধিকে বলেন,ঘটনায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে ভূক্তভোগী শফিকুল ইসলাম সানা বলেন,তার প্রতিবেশী দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সামছুর রহমান দীর্ঘ দিন যাবৎ তার বসত-বাড়ি ক্রয়ের জন্য পায়তারা চালিয়ে আসছে। তবে তিনি বিক্রি করতে রাজী না হওয়ায় ২০১৭ সাল থেকে অদ্যাবধি তার বিরুদ্ধে একের পর এক পরিকল্পিত হামলাসহ নানা হয়রানী করে আসছে। সাম্প্রতিক বসত-বাড়ির জায়গা দখলের ঘটনাটিও তার মদদেই হয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম সানার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,তিনি শফিকুলের বাড়ির মধ্যে জায়গা পাবেন,দীর্ঘ দিন যাবৎ তাকে জায়গা টুকু বের করে দেওয়ার জন্য বললেও তিনি তাতে কর্ণপাত না করায় তাদের প্রাপ্ত সম্পত্তি তারা দখলে নিয়েছেন।
সর্বশেষ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলেও সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তারা স্থানীয় প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।