সৈয়দপুরে সরকারী বিধিনিষেধ অমান্য করে চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। ওই কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল বাতেন এমন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। জানা যায় সে নীলফামারীর সদর চড়াইখোলা ইউনিয়ন ডিকশো সোনাখুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কস্থ ক্যান্ট বাজারের সামনে মামুন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রচেষ্টা কোচিং সেন্টার নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রধান শিক্ষক প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সরকারি বিধিনিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছে। অথচ কোচিং সেন্টারের ২শ’ গজ সামনে রয়েছে সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়। এছাড়াও কোচিং সেন্টারটি যেখানে রয়েছে ওই সড়কের সামনে দিয়ে প্রতিদিন সরকারি কর্মকর্তাগণ বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করেন। তাছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন কোনো ভাবে কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকতে পারবেনা এমন সুস্পষ্ট উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। এমনকি সরকারি ভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন নিষেধাজ্ঞা থাকার তারপরও ওই শিক্ষক নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে তার কোচিং বাণিজ্য। প্রশাসন ও মিডিয়ার লোকজনের দৃষ্টি আড়াল করতে ওই প্রধান শিক্ষক তার প্রচেষ্টা কোচিং সেন্টারের সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলেছে। যাতে কেউ সহজে বুঝতে না পারে যে ওই স্থানে কোচিং চালানো হয়। তবে কোচিং সেন্টারের সীমানা প্রাচীরে প্রচেষ্টা টিউটোরিয়াল হোম লেখা রয়েছে। তাছাড়া ওই প্রধান শিক্ষককের চাকুরীতে যাতে কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় এজন্য প্রধান শিক্ষক কোচিং সেন্টারে তার নিজের স্ত্রীকে বসিয়ে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ নেপথ্যে ওই প্রধান শিক্ষক আবদুল বাতেন’ই প্রচেষ্টা টিউটোরিয়াল হোমের মূল পরিচালক। এছাড়াও বিমানবন্দর সড়ককে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। ওইসব কোচিং সেন্টারের সাথে সরকারী ও বেসরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কোচিং বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানাযায়। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবদুল বাতেন মুঠোফোনে বলেন, কোচিং সেন্টারটি তার স্ত্রীকে দিয়েছেন। সে কোচিং বাণিজ্যের সাথে সরাসরি জড়িত নয় বলে জানান। এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) ওসমান গনি বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।