এবারের বর্ষা ও ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ায় চলমান নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে পদ্মার পেটে তলিয়ে গেছে গোদাগাড়ীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বুধবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে করে প্রায় শতাধিক বাড়ী ঘড় পদ্মার পেটে বিলিন হয়ে যায়। চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়ার মানিক চক বোয়লমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙ্গনের মুখে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলো। এতে করে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলো। বুধবার দিবাগত রাতে এই বিদ্যালয়ের দুটি দ্বিতল ভবনের মধ্যে একটি ভবর পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। অপর ভবটিও ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। যে কোন সময় সেই ভবনটিও পদ্মার বুকে ভেসে যেতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান। বিদ্যলয়ের দুটি ভবনে প্রায় ১০ টি রুম আছে। একটি ভবন পদ্মায় তলিয়ে যাওয়াতে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বর্তমান অবস্থায় চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। চর এলাকার লোকজন তাদের সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বজলুর রশিদ বিদ্যালয়ের ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একটি ভবন তলিয়ে গেলেও আরেকটি ভবন ঝুঁকির মুখে থাকায় প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ভাঙ্গনের ভবন সাম্রগী সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। তবে এসব শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালাতে খোলা আকাশের নিচে বা গাছ তলায় লেখাপড়ার কাজ চালাতে হবে। বিদ্যালয় ভবনের বিষয়ে সরকারের শুভ দৃষ্টি তিনি কামনা করেন।
চর আষাড়িয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন ভাঙ্গনের শিকার বিদ্যালয়টি বৃহস্পতিবার সকালে পরিদর্শন করেছি। সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে বলে জানান।