শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম (৫০) আত্মহত্যা করেছে। বুধবার রাতে পৌর শহরের গড়কান্দা মহল্লায় নিজ বাসভবনে তিনি আত্মহত্যা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
সে নালিতাবাড়ী শহর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গড়কান্দা মহল্লার মকরব আলীর ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম একসময় পারিবারিকভাবে বেশ সম্পদশালী ছিলেন। কিন্তু তেমন কোন কাজকম না করে পৈত্তিক সম্পিত্ত বিক্রি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিক্রি করা পৈত্তিক সম্মত্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি হতাশার মধ্যে পড়ে যান। হতাশা কাটাতে বেশির ভাগ সময় ঘুমের ট্যাবলেট খেতেন। বুধবার রাতে তিনি প্রায় ২৮টি ট্যাবলেট খান। পরে স্ত্রী ও মেয়েদের বকাবকি করে ঘর থেকে বের করে দেন। তাই স্ত্রী ও মেয়েরা আমিরুলের মায়ের ঘরে আশ্রয় নেন। এরপর রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আমিরুলের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তার স্ত্রী ঘরে ডুকে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
আমিরুলের স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন, আমাদের ভাত কাপড়ের কোন অভাব ছিল না। তবে আগে সম্পত্তি ছিল, কিন্তু সব বিক্রি করে ফেলায় আমার স্বামী সব সময় হতাশায় থাকতো। এর আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা (ওসি) বাছির আহমেদ বাদল বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমিরুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। তার পরিবারের লোজনের সাথে কথা বলে বুঝতে পেয়েছি, একসময় তাদের সয় সম্পত্তি ছিল, কিন্তু সেগুলো বিক্রি করে ফেলার পর থেকে আমিরুল হতায় ভোগছিলেন। এই কারণেই ফাঁসিতে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করে। তার স্ত্রীকে বাদী করে একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হয়েছে।