কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৫কেজি চালের দামে মিলছে ১ কেজি পিয়াঁজ। ফলে ক্রেতারা বিপাকে পড়ে অতি উচ্চ মূল্যে পিয়াঁজ ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। বাজারে পিয়াঁজের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার কারণে ভোক্তারা বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি ভারত পিয়াঁজ বন্ধ করে দেয়ার খবরে ব্যবসায়ীরা ১৪০ টাকা দরে পেয়াঁজ বিক্রি শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর ও মায়ানমার থেকে পিয়াঁজ আমদানি এবং বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয়ে ভীত হয়ে কয়েকদিন আগে ৭০টাকা দরে পিয়াঁজ বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট বাজার, সিঙ্গারডাবরীহাট, নাজিমখান বাজার, নাককাটিরহাট, মীলের পাড়, ফরকেরহাট, বৈদ্যেরবাজার, সরিষাবাড়ীহাট, বুড়িরহাট, ডাংরারহাটসহ ২০টি বাজারে আবারো পিয়াঁজের লাফিয়ে লাফিয়ে ১০০টাকায় উঠেছে। পিয়াঁজের বাজারে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। অনেক ক্রেতাই বাধ্য হয়ে আগের তুলনায় পিয়াঁজ কেনা কমে দিয়েছেন। বিক্রি কমে গেছে অনেকটা। ১৬অক্টোবর বুধবার দুপুরে রাজারহাট কাঁচা বাজারে মিজানুর রহমান নামের এক চাকুরী জীবি পিয়াঁজ কিনতে এসে বলেন, চাঁপাইতে প্রতি কেজি পিয়াঁজ ৬০ টাকা দরে কিনি। কিন্তু রাজারহাট বাজারে কিনতে এসে মাথা ঘুরে গেল। প্রতিকেজি পিয়াঁজ এখানে ১০০টাকা দাম হাঁকাচ্ছে দোকানদাররা। এ সময় অপর এক ক্রেতা রফিকুল ইসলাম(৭০) বলেন, আগে হাটে হাটে ১ কেজি পিয়াঁজ কিনতাম। দাম বেশী হওয়ায় এখন ১ পোয়া (২৫০গ্রাম) করে কিনছি। একাধিক খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ১৬অক্টোবর বুধবার সকালে প্রতি ধারা ( ৫ কেজি) পিয়াঁজ আরতদারের কাছ থেকে ৪৬০ টাকা দরে ক্রয় করা হয়েছে। সেটি ১০০ টাকা কেজি দরে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন আরতদার বলেন, এ উপজেলায় সরাসরি আমদানিকারক কোন ব্যবসায়ী না থাকায় রংপুর মোকাম থেকে পিয়াঁজ আমদানি করতে হয়। সেখানেও আজকের বাজারে (১৬অক্টোবর) প্রতিমণ পিয়াঁজ ৩হাজার ৩শ টাকায় কিনতে হয়েছে। পরিবহন খরচসহ কিছু লাভ নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পিয়াঁজ বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ২০টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় ৫ কেজি চাল বিক্রি করে ১ কেজি পিয়াঁজ কিনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কৃষকরা।
রাজারহাট কাঁচা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দুলাল মিয়া ও সেক্রেটারী ইয়াসিন আলী জানান, বাজার অনুযায়ী পিয়াঁজ বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছে। কেউ বেশী দামে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ যোবায়ের হোসেন জানান, আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি জানলাম, মনিটরিং পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।