বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংক শব্দটি ব্যবহার করে ব্যাংকিং ব্যবসা করে আসছে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি ব্যাংক। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাংক কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনে ব্যাংক ঘেরাও করে রাখে। এ সময় স্থানীয় গ্রহকরা তাদের (সঞ্চয়) জমাকৃত টাকা ফেরতের দাবী জানায়।
গতকাল(১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহক ও এলাকাবাসী ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
জানাগেছে,২০১৭ সালে উপজেলার চাপারহাট বাজারে একটি শাখা করে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি ব্যাংক। তখন থেকে বিভিন্ন গ্রহকদের কাছে নামের শেষে ব্যাংক শব্দটি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটিকে ‘আজিজ ব্যাংক’ নামে জেলাসহ জেলার বিভিন্নস্থানে পরিচিত করেছিল। ওই এলাকার বুধবার বিকেলে এক নারী গ্রাহক ‘আজিজ ব্যাংক’ নামে পরিচিত করছে এনটা জানলে চাপারহাট শাখায় তার (সঞ্চয়) টাকা ফেরত চাইলে এ্যাকাউন্টে কোন টাকা নেই এমনটাই জানান চাপারহাট ‘আজিজ ব্যাংক’ শাখার ব্যাবস্থাপক ইকবাল আজম। এ সময় চাপারহাট ‘আজিজ ব্যাংক’ শাখার ব্যাবস্থাপক ইকবাল আজমের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এদিকে এ ঘটনা বাকি গ্রাহকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাংকে এসে ভিড় জমায়। এক পর্যায়ে গ্রাহকদের মধ্যে প্রচন্ড উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে চাপারহাট ‘আজিজ ব্যাংক’ শাখার ব্যাবস্থাপক ইকবাল আজম পালানোর চেষ্টা করলে ব্যাংক ঘেরাও করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় গ্রাহকরা।
এদিকে, ব্যাংকে আর্থিক লেনদেন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই সময় উপস্থিত কালীগঞ্জ থানার তদন্ত (ওসি) ফরহাদ মন্ডলের কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানান সকল গ্রাহক। পরে রাত ১০টার দিকে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ^াসে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ মুক্ত করে দেয় স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী সুমন্ত রায়,শরিফুল ইসলাম,মিন্টু মিয়াসহ অনেকেই জানান, প্রায় চার মাস থেকে চাপারহাট ‘আজিজ ব্যাংক’ শাখার ব্যাবস্থাপক ইকবাল আজম টাকা ফেরত দিতে চাইলো দেয় না। এমনকি বাকি কর্মকর্তারা বলেন এ্যাকাউন্টে কোন টাকা নেই। মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তারা জানান। এ বিষয় জানতে চাপারহাট ‘আজিজ ব্যাংক’ শাখার ব্যাবস্থাপক ইকবাল আজম বলেন, চাপারাহাটের শাখায় কোনো টাকা নেই। এখানকার সব টাকা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেকারণে গ্রাহকদের কাছে সময় নেওয়া হয়। কিন্তু তারা কিছু না বুঝে আমাদের অফিস ঘেরাও করে রাখে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাপারহাট ‘আজিজ ব্যাংক’ শাখার ব্যাবস্থাপক ইকবাল আজমসহ সেখানকার কর্মকর্তাদের ঘেরাও করে রাখার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অভিযোগ দিলে অব্যশই ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।