কর্ম জীবনে অনেক ব্যস্ততা নিয়ে আমাদের সকলকেই প্রতিটি মূহুর্ত চলতে হয়। ২০১৬ সালের জুলাই মাসের ১৯তারিখে প্রথম যেদিন লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক পিপিএম।
তিনি বুঝেছিলেন এই জেলার মানুষ যথেষ্ট সহজ-সরল, কিন্তু সীমান্ত ঘেষা জেলা বিধায় মাদকের প্রভাব প্রকট ও সর্বত্র ছিল মাদকের ছড়াছড়ি। উঠিতি বয়সের ছেলে মেয়েরা এ নেশায় আক্রান্ত হয়ে স্কুল-কলেজ, বাবা মাকে ফাঁকি দিয়ে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। অভিভাবকগন দিশেহাা হয়ে পড়ছে। তাছাড়া এই জেলাটি ছিল আন্তঃজেলা মাদক পাচারের একটি অন্যতম নিরপদ রুট। আমার পূর্বসূরীরাও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তাই মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রত্যয় গ্রহণ করেছিলেন।
এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক পিপিএম বলেন, কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পর্যন্ত আমার সকল সহকর্মীদের নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে শুরু করলাম যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জেলা পুলিশের সকল সদস্য, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা দল ও মত নির্বিশেষে সকলের আকন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি। যার ফলশ্রুতিতে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ ২০১৬ সালের পুলিশ সপ্তাহে মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযান ‘‘গ্রুপে ১ম স্থান, চোরাচালান মালামাল উ্দধা অভিযান ‘‘গ’’ গ্রুপে ১ম স্থান এবং ২০১৭-২০১৮ সালের পুলিশ সপ্তাহে মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযান ‘‘গ’’ গ্রুপে ১ম স্থান, চোরা চালান মালামাল উদ্ধার অভিযান ‘‘গ’’ গ্রুপে ২য় স্থান অর্জন করে। এ ছাড়া অপরাধ দমনে সফলতার জন্য রংপুর রেঞ্জে ১২ বার শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার, ৭ বার শ্রেষ্ঠ এএসপি/ এডিশনাল এসপি (সার্কেল) এর পুরুষ্কার লাভ, লালমনিরহাট থানা টানা ৩ বারসহ মোট ৫ বার শ্রেষ্ঠ থানা হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এখন ২০১৯ সালে এসে অন্তত এটুকু বলা যায় যে, মাদক পুরোপুরি নির্মূল না হলেও বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ কৃতিত্ব জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্যেও, এ কৃতিত্ব লালমনিরহাট জেলাবাসীর।
শুধু মাদকমুক্ত করলেই চলবে না, চাই শিক্ষার জন্য সুন্দর পরিবেশ ও দক্ষ শিক্ষকের সু ব্যবস্থা। প্রিন্সিপাল মহোদয় জনাব সুরেন্দ্র নাশ বর্মা, ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, প্রথম দিনেই আমাকে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। স্কুল পরিদর্শনে এসে দেখলাম ২০০৫ সালে তৎকালীন পুলিশ সুপার মেজবাহ উদ্দিন পিপিএম (বর্তমানে অতিরিক্ত আইজিপি) মহোদয়ের নিরলস পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ফাকল প্রি-ক্যাডেট স্কুল।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ফাকল শব্দটির অর্থ কী? লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার নামের প্রথম অক্ষর গুলো নিয়ে (পাটগ্রাম এর চ, হাতীবান্ধার ঐধ, কালীগঞ্জের ক, আদিতমারীর অ, লালমনিরহাটের খ) গঠিত হয়েছে ফাকল । ইহা একটি রুশ পরিভাষা যার অর্থ ‘‘আলোর মশাল’’। এই বুদ্ধিদীপ্ত নামকরণটি করেছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও তৎকালনি পুলিশ সুপার মেজবাহ উদ্দিন পিপিএম মহোদয়। পরবর্তীতে সকল পুলিশ সুপার মহোদয়ের হাত ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল রূপে আবির্ভূত হয়েছিল। ২০১৬ সালে আমার উত্তরসূরি পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম কলেজ শাখা চালু করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পরিদর্শনেই লক্ষ করেছিলাম জেলা পুলিশের হাসপাতাল ভবনটি দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুলের প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যার দরুণ পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা কর্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ভাবনায় পড়ে গেলাম, পুলিশ হাসপাতাল খালি করতে হবে। তাই স্কুলের জন্য প্রশাসনিক ভবন নির্মাণকরা দরকার। প্রতিষ্ঠানের সকল বিষয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি। মনে মনে ভাবছি নতুন ভবন কোথায় নির্মাণ করা যায়। টিনসেড বিল্ডিং এর পাশে পুকুর, এখানে একটি নান্দনিক শিক্ষা ভবন করা যায়। যেখানে দাঁড়ালে মনে হবে অত্যন্ত উন্নত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। প্রিন্সিপাল সাহেব আগ্রহ দেখালেন বটে, কিন্তু সমস্যা, এত টাকার যোগান কিভাবে হবে ইতোমধ্যে টিন সেড ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের ঋণ হয়ে গিয়েছিল ১৭ লক্ষ টাকা। এই ঋণটিও পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু তাই বলে থেমে থাকা যায় না। কথা দিলাম দৃষ্টিনন্দিত ৪তলা ভিত বিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন-২ নির্মাণের জন্য প্রতিষ্ঠান তার সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করবে। বাকীটা আমরা দেখব। এরপর আমার সকল সহকর্মী, চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দ ও দানশীল ব্যবসায়ীদের নিয়ে চলল ম্যারাথন মিটিং। এনএম নাসিরুদ্দিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, লালমনিরহাট (বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, সিনিয়র এএসপি শহীদ সোহরাওয়ার্দী, সিনিয়র এএসপি লীজা বেগম (বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার), লালমনিরহাট সদর থানার তৎকালীন কর্মকর্তা ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, মুঃ তরিকুর ইসলাম. টিআই, লালমনিরহাট সদর, হেলাল উদ্দিন সরকার, উপাধ্যক্ষ, ফাকল পুলিস লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দেবেন্দ্র নাথ রায়, হিসাবরক্ষক ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সকলকে নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হলো। যার যার অবস্থান থেকে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসলেন।
প্রতিষ্ঠানের নামে ক্রয়কৃত জমি যেটিকে ডোবা বলা যেতে পারে, সেখানে মাছ চাষ বন্ধ করে প্রথমেই মাটি দিয়ে ভরাট করা হলো। এর পাশাপাশি নতুন করে ক্রয় করা হলো সাড়ে ১১ শতাংশ জমি। লালমনিরহাট জেলার ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দের সম্মানে চা চক্রের আয়োজন করে তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ করলাম। এছাড়াও যখনই কোন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই জেলা এসেছিলেন তখনই প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। টিআই মু. তরিকুল ইসলামের সহযোগিতায় পুকুর ভরাট করে সবুজ ঘাস লাগিয়ে সুন্দর মাঠের ব্যবস্থা করা হয়। যা প্রতিষ্ঠানটির শোভা বর্ধনে ভূমিকা রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির কোন মটো ছিল না। আমার মাথায় এলো ‘‘শিক্ষা, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি’’ এমন একটি মটো হলে কেমন হয়। সকলের সাথে আলোচনায় এই মটোটি চূড়ান্ত করা হলো। শিক্ষকবৃন্দের ইউনিফর্মে পরিবর্তন আনয়ন সহ শীতকালীন ব্লেজার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এবারেই প্রথম প্রতিষ্ঠানের নববিবাহিত শিক্ষকদের জন্য চালু করা হলো বিশেষ ছুটি ও মধু চন্দ্রিমা ভাতা। প্রথম বারের মত তৈরি করা হল প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ও ‘‘উদ্দীপন’’ নামে একটি বিশেষ ম্যাগাজিন। গত সেপ্টেম্বর-২০১৮ মাসে উদ্যাপিত হয়েছে ফাকলের একযুগ পূর্তি অনুষ্ঠান। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল ফাকল ক্যাম্পাস। এরই মাঝে শিক্ষক সংকট ছিল ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রভাষক পদে ১৮ জন, সহকারী শিক্ষক পদে ১১ জন, অফিস সহকারী পদে ০২ জন (হিসাব সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর) আয়া পদে ০৩ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ০১ জন ও নৈশ্য প্রহরী পদে ০১ জন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। উপাধ্যক্ষ পদ সৃষ্টি করে প্রভাষকের মধ্য থেকে ০২ জন কে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রভাষক, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বর্তমানে সরকারী স্কেলে প্রদানসহ ১৫% বাড়ী ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানের সু-ব্যবস্থা করা হয়। এতে সকলের আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং চলার পথ সুগম হয়েছে। প্রতিটি নিয়োগে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠান যাদের প্রতি কৃতজ্ঞ তাদের কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন লালমনিরহাট পৌরসভার সম্মানিত মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু, যাকে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠনে ডাকা মাত্রই সাড়া দিয়েছেন। আরও রয়েছেন মাতৃ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দুলাল কর্মকার, আলহ্জাব শেখ আবদুল হামিদ বাবু, সাবেক সভাপতি, চেম্বার অব কমার্স এ ইন্ডাস্ট্রিজ, লালমনিরহাট, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, আবদুল হাকিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিম স্বপনসহ আরও অনেকেই। অত্র জেলার মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান আহম্মেদ, মাননীয় মন্ত্রী, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতাহার হোসেন, মাননীয় সংসদ সদস্য মরহুম ইঞ্জিনিয়ার আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ দুলাল, মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, মোঃ শফিউল আরিফ, জেলা প্রশাসক, লালমনিরহাট, অ্যাড. মোঃ মতিয়ার রহমান, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ লালমনিরহাট প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত।
এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল জেলার মধ্যে অন্যতম। এসএসসি-২০১৮ ব্যাচের ৭৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৩ জনই ‘‘এ’’ গ্রেডে এবং ১ জন এ মাইনাস গ্রেডে কৃতকার্য হয়েছে। তন্মধ্যে গোল্ডেন পেয়েছে ৮ জন। আমরা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসি যা প্রতিনিয়ত মনিটরিং এর জন্য অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়। সহ পাঠ্যক্রমের প্রতিটি প্রোগ্রামে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করে আসছে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিগত কয়েক বছর যাবৎ মহান জাতীয় দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার অধিকাংশ আইটেমে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বিভাগীয় পর্যায় ও জাতীয় পর্যায়ে পুরুষ্কার লাভ করেছে একাধিকবার। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কাউট গ্রুপ এ চতুর্থ বার্ষিক ক্যাম্পে ও ক্রাইম প্রিভেনশন ২ কোর্সে ২০১৮ সালে সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করে এবং দ্বিতীয় আঞ্চলিক স্কাউট সমাবেশ-২০১৮ এ চ্যালেঞ্জ-২ ‘‘আমার বাড়ী’’ প্রথম স্থান (দিনাজপুর অঞ্চল) অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও এবারেই প্রথম জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে ‘‘ক’’ গ্রুপে সমগ্র বাংলাদেশে ৫৫ টি জেলার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ২য় স্থানসহ ৩টি ল্যাপটপ, ৩ সেট বই, ৩টি ক্রেস্ট ও ৩টি সনদ অর্জন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ৩০ লক্ষ শহীদের উদ্দেশ্যে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীকে সফল করার লক্ষ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানেও বৃক্ষরোপনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে আরো অত্যাধুনিক করার জন্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট সহ আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে নজর দারির জন্য সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দের দীর্ঘ দিনের অনুরোধ যে তাদের বেতন ভাতা সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ন্যায় করা হউক। যা জানুয়ারি ২০১৯ইং হতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি শিক্ষার্থীর অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রত্যয়ে সংঘবদ্ধ হয় তাহলে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে অবারিত সুখের আশ্রয়স্থল।
আধুনিক যুগ বিশ^ায়নের যুগ। বিশ^ায়নের গতিশীল চাকার ঘূর্ণন বাংলাদেশের শিক্ষার ওপরও এসে পড়েছে। ফাকলের আলো ছড়িয়ে পড়-ক সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা সর্ব ক্ষেত্রে। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অভিষ্ট লক্ষ্যে-এটাই হোক সকলের অভীপ্সা।