আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায়। ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আগাম জাতের ধান বাজারে চাহিদাও বেশি। ধানের ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় একই সাথে দুটো লাভে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
আগাম জাতের আমন ধান কেটে ওই জমিতে রবিশষ্য আলু, সরিষা চাষ করবে এই উপজেলার কৃষকেরা। এতেও একই জমিতে বছরে চারটি ফসল উৎপাদন করতে পারবে কৃষক।
ধান ব্যবসায়ী সাঈদুল ইসলাম মিলন বলেন, বাজারে সবেমাত্র ধান উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে মিনিকেট জাতের ধান প্রতিমণ ৭০০ টাকা, বিনা-৭ জাতের ধান প্রতিমণ ৬০০ টাকা ও দাদা কাটারি জাতের ধান ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম গ্রামের কৃষক ফেরদৌস সরদার বলেন, 'ফলন ও দাম যা-ই হোক জমিটা আগেই খালি হওয়ায় এখন সরিষা চাষ করা হবে। নমলা (বিলম্বে চাষ) ধান লাগালে অন্য ফসল আর লাগানো হতো না।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মশিদুল হক জানান, এই উপজেলার কৃষকরা ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছে। এরমধ্যে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে। আগামি দুই সপ্তাহ পর উপজেলা জুড়ে পুরোদমে ধান কাঁটা ও মাড়াই শুরু হবে।