পোষা ছাগলটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় নিলুফা ইয়াসমিনের। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান মেলেনি। সংসারের জিনিসপত্র কেনার স্বপ্নও ভেঙে কান্নাকাটি শুরে করে নিলুফা। অবশেষে কলারোয়া থানা পুলিশ নিলুফার সেই ছাগলটি তুলে দেয় তার মায়ের হাতে। ছাগলটি পেয়ে এখন খুশির শেষ নেই অসহায় নিলুফা ও তার মা ছকিনা বেগমের। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি এলাকার কাজেম সরদারের মেয়ে দিনমজুর নিলুফা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, গত রোববার (১৩অক্টোবর) দুপুরে হঠাৎই পোষা ছাগলটি নিখোঁজ হয় তার। কোনো সন্ধানই মিলছিল না। অবশেষে জানতে পারেন, স্থানীয় চৌকিদার ছাগলটি তালা থানায় জমা দিয়েছেন। থানায় গিয়েও না পেয়ে পুনরায় ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদে চৌকিদারের কাছে ফিরে আসেন তিনি। তখন চৌকিদার সাহাবুদ্দিন বলেন, রোববার কলারোয়া থানার ওসি স্যার আমাকে ফোন দিয়ে জানান, আপনার ছাগলটি কলারোয়া থানায় রয়েছে এসে নিয়ে যান। পরে আমার মা ছকিনা বেগম কলারোয়া থানায় গিয়ে ছাগলটি নিয়ে আসেন। পুলিশ স্যারদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ছাগলটি খুঁজে দেওয়ার জন্য। এ ছাগলটি বিক্রি করে আমি সংসারের জিনিসপত্র কিনবো। ছাগলটি হারিয়ে যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলো আমিসহ আমার পরিবার। ঘটনার বিষয়ে তালা থানা পুলিশের কর্মকর্তা ইনচার্জ মেহেদী রাসেল জানান, ওই নারী খুব অসহায়। আমি নিজেও তাদের বাড়ি গিয়ে দেখেছি। চোররা চুরি করে ছাগলটি কলারোয়া থানা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানকার পুলিশ ছাগলটি উদ্ধার করেছে। অসহায় পরিবারের হাতে ছাগলটি তুলে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। এদিকে কলারোয়া থানা পুলিশের কর্মকর্তা ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, গত মঙ্গলবার (১৫সেপ্টেম্বর) আমরা ছাগলটি উদ্ধার করি। এরপর পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে মেসেজ দেয়া হয়। এরপর নিলুফার মা (৭৫) বছরের বৃদ্ধা ছকিনা বেগম সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় এসে ছাগলটি জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরে করেন। তখনই আমরা বুঝতে পারি এ ছাগলটি তাদের। তিনি আরও বলেন, বৃদ্ধা মহিলা সকিনা বেগমের ছাগলটি বহন করে তালায় যাওয়া সম্ভব ছিল না। এরপর বৃদ্ধা সকিনার সঙ্গে এক চৌকিদারকে দিয়ে ছাগলটি তালার ইসলামকাটিতে তার গ্রামের বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এটা আমাদের পুলিশের দায়িত্ব ছিল।