ভোলার বোরহানউদ্দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা প্রশাসন থেকে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। কমিটির প্রধান ভোলার স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান শুক্রবার রাতে সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুসুদ আলম সিদ্দিকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৪ পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ২০ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল নিহতদের পিতা-মাতার হাতে নগদ অর্থ তুলে দিয়েছেন। এর আগে এমপি মুকুল বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভোলা সদর আসনের এমপি, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এর পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত টিমের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত টিমের রিপোর্ট অচিরেই পাওয়া যাবে। পুরো ঘটনাটিকে নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় এমপি মুকুল দোষীদের খুজে বের করার ক্ষেত্রে সাংবাদ মাধ্যমের সহায়তাও কামনা করেন।
ভোলা সর্ব দলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে এমপি মুকুল বলেন, নিহতদের পরিবারকে মানবিক সহায়তা করা হয়েছে। আহতদেরকে চিকিৎসা সাহায়তা দেয়াসহ সবগুলো দাবিই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
এব্যাপারে,ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপ জেলায় গত ২০ তারিখে উদ্বভোত পরিস্থিতির প্রক্ষেতে আমারা তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম তারা সরজমিন তদন্ত করে গত কাল ২৫ তারিখ আমার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে সেটা আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।
অন্যদিকে, ভোলা শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থানে কঠোর নিরপাত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। শহরে চলছে ৩ বাহিনীর যৌথ টহল। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র্যাব পুলিশ বিজিবি মোতায়ন আজও রয়েছে।