এক সময়ের লড়াকু ছাত্রনেতা আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা। মিছিলে মিছিলে উত্তাল করেছেন রাজপথ। ‘৮৭ সালে স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথ থেকে গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দী হয়েছিলেন। জনপ্রিয়তা ও তুখোঁড় ছাত্র রাজনীতিক হওয়ার কারনে ‘৯২ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন ভেড়ামারা কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস পদে। সেই লড়াকু ছাত্রনেতাই আজকের ভেড়ামারা পৌরসভার সফল মেয়র। ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের কান্ডারী। ৭ বছর আগে দায়িত্ব পেয়েছিলেন সাধারন সম্পাদকের। সেই দায়িত্ব সুচারুরুপে কর্তব্য নিষ্টার সাথে পালন করে আস্থা কুঁড়িয়েছেন নেতাকর্মীদের। বহু কান্টার্কীন পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে গেছেন সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে। ভেড়ামারা পৌরবাসী, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এবং তৃনমূল নেতাকর্মীদের ভরসার প্রতীক তিনি। দলমত নির্বিশেষে সাধারন মানুষ তাকে ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করেছেন ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র পদে। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া যাওয়া ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে তার প্রতিই আস্থা রাখতে চান আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। পরীক্ষিত এবং ত্যাগী নেতা হিসেবে তার হাতেই নিরাপদ থাকবে দল এবং দলের নেতাকর্মীরা এমনটাই মনে করেন, তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা। নানা চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে এগিয়ে চলেছেন কাঙ্খিত লক্ষ্যে। স্কুল জীবনেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ‘৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে রাজপথ থেকে গ্রেফতার হয়ে কারাবরন করেন। ফলশ্রুতিতে ‘৯২ সালে ভেড়ামারা কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিএস পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এরপর নানা ঘাত প্রতিঘাত মোকাবিলা করে রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যবহত রেখেছেন। ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলেও ছিলেন চরম ভাবে কোন ঠাসা। হামলা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় হয়েছিলেন এলাকা ছাড়া। আওয়ামী রাজনীতিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছেন। এখন আওয়ামীলীগ। নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভেড়ামারা উপজেলা যুবলীগের নেতৃত্বে থেকেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র হিসেবে।
২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের পরেই মুলত বিকশিত হয় আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা। একটা সংকটকালীন সময়ে তিনি হাল ধরেন ভেড়ামারা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার। সাধারন সম্পাদক হয়ে সুচারুরুপে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সে সময় ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন করেন হাল সময়ের জনপ্রিয় এই নেতা। সর্বোচ্চ এবং বিপুল ভোটে তিনি অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর আর তাকে পিছু ফিরতে হয়নি। তরতর করে উঠে গেছেন স্বর্ণ শিখরে। এরপর যত নির্বাচনে তিনি লড়েছেন, সেখানেই বিজয়ী হয়েছেন বিপুল ভোটে। ২০১১ সালে ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনের সময় তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ছিলেন। এ পদে থেকেই তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়ে চমক দেখান। বিএনপির শক্তিশালী মেয়র প্রার্থী এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম কে তিনি বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রথম বার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার প্রতিই আস্থা রেখে নৌকা প্রতীক দেন। ভেড়ামারা পৌরসভার নির্বাচনে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিশালী প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল আলীম স্বপন কে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১২ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে তিনি ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের কান্ডারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। নির্বাচিত হন সাধারন সম্পাদক। হযবরল উপজেলা আওয়ামীলীগ কে ঢেলে সাজান। কংকীট নেতৃত্ব দিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ কে সমৃদ্ধ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুলোতে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারনায় অংশ নিয়ে দলীয় ভাবে বিজয় নিশ্চিত করেছেন। ধরমপুর, জুনিয়াদহ, ম্কোরিমপুর, বাহিরচর এবং পৌরসভায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানরা নেতৃত্ব দিচেছন। আওয়ামীলীগ নেতৃবন্দ মনে করেন, আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানাই যোগ্য ব্যাক্তি এবং সাংগঠনিক। তিনি নেতৃত্ব দিতে জানেন। তার হাতেই দল ছিল নিরাপদ এবং তিনিই সমৃদ্ধ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ কে। তিনিই নেতাকর্মীদের অতি আপন জন। তিনি বোঝেন নেতাকর্মীদের দুঃখ কষ্ট।
জুনিয়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নব নির্বাচিত কয়েকজন কাউন্সিলর জানিয়েছেন, ৫ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিক কাউন্সিল। আগামী ৩ বছরের জন্য নেতা নির্বাচন করা হবে। নেতৃত্বও প্রতিষ্ঠিত হবে। যার হাতে দল এবং নেতাকর্মী নিরাপদ থাকবে তাকেই দলের যোগ্য এবং নিবেদিত প্রান হিসেবে বিবেচনা করে দায়িত্ব দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা যোগ্য ব্যাক্তি। তাকেই আমরা সাধারন সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই। তিনিই আমাদের প্রান প্রিয় নেতা মাহবুব উল আলম হানিফের সব চেয়ে বেশী আস্থা ভাজন।
ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা বলেছেন, আমার প্রানপ্রিয় নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ’র দোয়া এবং সমর্থন আমার প্রতি রয়েছে। তার নির্দেশ মতই আমি আমার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। দলের নেতৃত্ব দিয়েছি। আগের যেকোন সময়ের চেয়ে দল এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি বলেন, দল এবং দলের নেতাকর্মীরা আমার প্রান। তারা আমার সাথে সব সময় রয়েছে। আগামী ৫ নভেম্বর ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠত হবে। আমি যদি আবারো দলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিষন ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবো।