কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারী কলেজে'র ৩৭ জন ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য তালিকাভূক্ত হওয়া সত্বেও উপবৃত্তি পাচ্ছে না। ২০১৪-১৫ সেশনে স্নাতকে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদানের তালিকা প্রস্তুত করার সময় অফিস সহকারী আবদুল আজিজ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাগজ তৈরী করার নাম করে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে টাকা পয়সা নিত। ঐ সেশনের উপবৃত্তি পাবে এমন তালিকাভূক্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজ কর্তৃপক্ষ ভাড়াটিয়া কয়েক জন কর্মী ডেকে এনে ডাচ-বাংলা মোবাইল একাউন্টের হিসাব খুলে নেন। কলেজের অফিসেই বসে হিসাব খোলার কাজ করার সময় ঐ সমস্ত প্রতারক লোক কোন কোন ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। যে ছাত্রী প্রস্তাবে রাজি নয়, তার মোবাইল নম্বরের ডিজিট ভূল করে অ্যাকাউন্ট (ডিবিএল) হিসাব খুলে দেন। ২০১৪-১৫ সেশনে স্নাতক শেষ বর্ষের তালিকাভূক্ত পরীক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় ১২/১৩ জন ছাত্র-ছাত্রী সমুদয় টাকা পাওয়ার লক্ষ্যে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বসী'র নিকট গত ১২/০৩/২০১৯ ইং তারিখে লিখিত আবেদন করে। ইউএনও অভিযোগ পেয়ে ভূরুঙ্গামারী সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নিকট উপবৃত্তির টাকা প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন। এদিকে ৩য় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ হলেও অভিযোগকারী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাপ্য সরকারী উপবৃত্তির টাকা এখনো পায়নি। প্রতি জনের ১৫ হাজার করে টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও ৩৭ জনের মোট ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা কার নিকটৃ জমা আছ? আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা উপবৃত্তির টাকা পাবে কিনা, এ ব্যাপারে ইউএনও কে প্রশ্ন করলে তিনি অধ্যক্ষের নিকট যেতে বলেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করা হয় আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তির টাকা পাবে কিনা? তিনি জবাব দেন, আমরা মন্ত্রনালয়ে লিখেছি। সেখানে এক মহিলা সহকারি সচিব পদে দায়িত্বে আছেন। উনি টাকা না পাঠালে আমরা কিভাবে উপবৃত্তি প্রদান করবো ? উল্লেখ্য, অফিস সহকারী আবদুল আজিজ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে রুক্ষ্ম ব্যবহার করেন এবং কাজ কর্মে যথেষ্ঠ অবহেলা করেন। সচেতন মহলের মন্তব্য, স্নাতক পাশ করার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তালিকাভূক্ত ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তি থেকে কেন বঞ্চিত হবে?