উপকুলীয় জনপদ খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের আংটিহারা গেটের গোড়া থেকে আনুমানিক কোয়ার্টার কিলোমিটার পূর্বদিকে শাকাড়িয়া নদীর ভেড়িবাঁধের সিংহভাগ ভেঙে গেছে। জরুরীভাবে এ এলাকার ভেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে যে কোন মুহুর্তে প্লাবিত হওয়ার আশংকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসি।
সরেজমিন রোববার ঘুরে দেখা গেছে,দক্ষিন বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা গেটের গোড়া থেকে আনুমানিক কোয়ার্টার কিলোমিটার পূর্বদিকে ওয়াপদা ভেড়িবাঁধ পূর্ব থেকেই অধিকাংশই ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভেড়িবাঁধের উপরিভাগে কোথাও কোথাও আনুমানিত ৩ ফুটে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থার মধ্যে সম্প্রতি উল্লিখিত স্থানের গীরেন্দ্রনাথ সরদার ও শ্রীপদ ম-লের বসতবাড়ির লাগোয়া ভেড়িবাঁধ হঠাৎ ধ্বসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে অর্থ খরচ করে লোকজন নিয়ে ভাঙন স্থানে মাটি ভরাট করা হলেও তা টেকসই নয় বলে এলকাবাসি জানিয়েছে। যে কোন সময় সেখান দিয়ে ভেঙে লোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি, মৎস্য ঘের ও ফসলী জমি। জীবনহানি ঘটতে পারে মানুষ ও গৃহপালিত পশু-পাখির। ভাঙন আতঙ্কে এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ভেড়িবাঁধ ভাঙন স্থলের ইউপি সদস্য আঃ গনি বলেন, ‘ভাঙনের ভয়ে সারা রাত ঘুমাতে পারিনা। সারাক্ষন মনে ভয় কখন না জানি ভেড়িবাঁধ ভেঙে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়, প্রতি মুহুর্তে এ আতঙ্কে থাকি। এত কিছুর পরেও জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার করা না হলে এলাকায় বসবাস করা সম্ভব হবেনা।
দক্ষিন বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান জি. এম. কবি শামছুর রহমান বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে এলাকার মানুষ প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে আছে। নদী ভাঙনের খবর শুনলে রাত্রে ঘুমাতে পারেনা। ইউনিয়নের যে কোন স্থান থেকে ভেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে সমস্ত ইউনিয়ন লোনা পানিতে প্লাবিত হবে। আংটিহারা ভাঙন দেখে ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে অর্থ দিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ক্জা করে যাচ্ছি তবে সেটি টেকসই হবে কিন সন্দেহ আছি। তিনি এ অঞ্চলের অস্তিত্ব রক্ষায় যথাশীঘ্র টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মানের জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তা মোঃ মশিউল আলম বলেন, আংটিহারা ভেড়িবাঁধ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সার্বিক বিষয় নিয়ে পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জাননো হয়েছে। আশা করি উল্লিখিত স্থানে ভেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ অতিতাড়াতাড়ি শুরু করা হবে।