ভোলার মনপুরায় আলোচিত গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আটককৃত সেই ছাত্রলীগের সাবেক ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ডর মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানী শেষে মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ নুরু মিয়া রোববার থেকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে এই মামলার অপর ৫ আসামী, মোঃ বেল্লাল পাটোয়ারী (৩৫), মোঃ রাসেদ পালোয়ান (২৫), মোঃ শাহীন খান (২২), মোঃ কিরন (২৬) ও স্পীডবোট চালক আসামি রিয়াজকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) ও তদন্ত কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন জানান, আমি থানায় নতুন যোগদান করেছি। এই মামলার পলাতক ৫ আসামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ই অক্টোবর, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বাবার বাড়ি থেকে আড়াই বছরের সন্তানকে নিয়ে গৃহবধূ মনপুরা যাওয়ার জন্য চরফ্যাসনের বেতুয়া লঞ্চ ঘাটে আসেন। ঘাটে এসে দেখেন লঞ্চ ছেড়ে গেছে। পরে স্পীডবোটে চড়েন। বোটে দুইজন পুরুষ যাত্রী ছিলেন। পথিমধ্যে খালপাড় থেকে আরো দুইজন যাত্রী উঠেন। একপর্যায়ে ৪ যাত্রী স্পীডবোটটি জোরপূর্বক নির্জন চরপিয়াল নিয়ে বাগানের মধ্যে গণধর্ষণ করে ওই চার যাত্রী। পরে স্পীডবোট চালক রিয়াজ স্পীডবোটটি চালিয়ে জনতা ঘাটে এসে মালিক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুলকে জানায়। সাবেক সভাপতি একই স্পীডবোটে করে চরপিয়াল যান। ওই সময় নজরুল ৪ ধর্ষণকারীকে মারধর করে তাদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে ওই গৃহবধূকে চরের ভেতর পুনরায় ধর্ষণ করে। গৃহবধূকে ১ হাজার টাকা দিয়ে নিজের কাছে দুই হাজার টাকা রাখেন নজরুল। পরে ধর্ষণের ভিডিও ফেইসবুকে দিবে বলে হুমকী দেন নজরুল। এই ঘটনায় শনিবার রাতেই ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে ওই গৃহবধূ।